গত শুক্রবার কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী সোনভদ্রে জনগোষ্ঠী সংঘর্ষে মৃতদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে যাওয়ার পথে তাঁকে আটক করে পুলিশ। মির্জাপুরের নারায়ণপুরে তাঁর পথ আটকানো হয়। তারপর দিন শনিবার সকালে তৃণমূলের ৩ সদস্যের সংসদীয় প্রতিনিধিদলকে সোনভদ্রে যাওয়ার আগে বারাণসী বিমানবন্দরেই আটক করল পুলিশ।
তৃণমূলের ৩ সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন, সুনীল মণ্ডল ও আবীররঞ্জন বিশ্বাস-এর শনিবার বারাণসী বিমানবন্দরে নেমে প্রথমে বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রমা সেন্টারে ভর্তি আহতদের দেখতে যাওয়ার কথা ছিল। তারপর সেখান থেকে সোনভদ্রে যাওয়ার কথা ছিল। গত শুক্রবার প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে ট্রমা সেন্টারে আহতদের দেখতে দিলেও সোনভদ্রে যেতে দেওয়া হয়নি। এদিন ট্রমা সেন্টার পর্যন্তও পৌঁছতে দেওয়া হয়নি তৃণমূল সাংসদদের।
ডেরেক ও’ব্রায়েন পরে জানান, তাঁদের বিমানবন্দরেই আটক করা হয়। নামার পরই আটক করা হয়। কিন্তু কোন ধারায় আটক করা হল তা জানানো হয়নি। ডেরেকের দাবি, তাঁরা শান্তিপূর্ণভাবে আহতদের দেখতে চাইছিলেন। মৃতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে তাঁদের পাশে থাকার বার্তা দিতে চাইছিলেন। ১৪৪ ধারা থাকলেও তাঁরা ৩ জন ছিলেন। ফলে তাঁদের ঢুকতে দিতেই পারত পুলিশ। তাঁরা সবরকম সহযোগিতারও আশ্বাস দেন এডিএম ও এসপি-কে। কিন্তু তাঁদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি।
উত্তরপ্রদেশের সোনভদ্র জেলার উভা গ্রামে একটি জমি বিবাদকে কেন্দ্র করে গুজ্জর ও গোন্ড জনগোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। প্রবল সংঘর্ষ হয়। গুলি চলে। গোন্ডদের দাবি তাদের জমি থেকে উৎখাত করতে আধ ঘণ্টা ধরে তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালায় গুজ্জররা। অকথ্য মারধর করা হয়। মৃত্যু হয় ১০ জনের। যার মধ্যে ৩ জন মহিলা। ২৪ জন গুরুতর আহত হন। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এই সংঘর্ষে যুক্ত থাকার অভিযোগে ২ জনগোষ্ঠীর মোট ২৯ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আহতদের বারাণসীতে বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রমা সেন্টারে ভর্তি করা হয়। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা