কাশ্মীরের কুলগামে ৫ বাঙালি শ্রমিককে নৃশংসভাবে গুলিতে ঝাঁঝরা করে দিয়েছে জঙ্গিরা। সেই ঘটনায় ওখানে কাজ করতে যাওয়া অন্য শ্রমিকরাও আতঙ্কে ছিলেন। পশ্চিমবঙ্গ থেকে কাশ্মীরে কাজ করতে যাওয়া ১৩৩ জনকে সোমবার কলকাতায় ফিরিয়ে আনে রাজ্য সরকার। এদিকে তাঁরা যখন স্টেশনে নামছেন, ঠিক তখনই শহরের অন্য প্রান্তে বাঙালি শ্রমিক হত্যার প্রতিবাদে মোমবাতি মিছিলে সামিল হল যুব তৃণমূল।
বিড়লা প্ল্যানেটোরিয়াম থেকে শুরু করে মেয়ো রোডে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে শেষে হয় এই মোমবাতি মিছিল। মিছিলের সামনে ছিলেন মন্ত্রী শশী পাঁজা। ছিলেন তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন। ছিলেন অন্য নেতা কর্মীরা। সকলের হাতেই ছিল মোমবাতি। এদিন মূলত ২টি বিষয়কে সামনে রেখে মোমবাতি মিছিলটি হয়। এক, বাঙালি শ্রমিকদের গুলি করে হত্যার প্রতিবাদ ও দুই, এই হত্যাকাণ্ডের নিরপেক্ষ তদন্ত।
কুলগামে ৫ বাঙালি শ্রমিকের মৃত্যুর পর এঁদের পরিবার পিছু ৫ লক্ষ টাকা করে সাহায্য ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেইসঙ্গে তিনি এটাও জানান যে এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। তাঁর মতে, কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের পর গোটা এলাকাই ছিল কেন্দ্রের নজরদারিতে। সেখানে অন্য কোনও রাজনৈতিক দলের কার্যকলাপ ছিলনা। কেন্দ্র যে জায়গার দেখভাল করছিল, সেখানে এমন ঘটনা ঘটল কীভাবে? মুখ্যমন্ত্রী যে এই ঘটনাকে সামনে রেখে কেন্দ্রকে তোপ দাগার সুযোগ ছাড়েননি এটা পরিস্কার। এদিনের মোমবাতি মিছিল সেদিকেই আরও একধাপ এগোনো বলে মেনে নিচ্ছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞেরা।