বিজেপি নেতা মুকুল রায় ও বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংয়ের খাস তালুক হিসাবেই ধরা হয়ে থাকে হালিশহর, কাঁচরাপাড়া, নৈহাটি এলাকাকে। এসব পুরসভাও তাই তৃণমূলের কাছ থেকে একসময়ে কেড়ে নেয় বিজেপি। এসব পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলরদের সিংহভাগ লোকসভা নির্বাচনের পর বিজেপিতে যোগদানের পর তৃণমূলের হাতছাড়া হয় পুরসভাগুলি। সঙ্গে ছিল ভাটপাড়াও। কিন্তু কিছু সময় কাটার পর ফের শুরু হয় কাউন্সিলরদের তৃণমূলে ফিরে আসা। তাঁদের ঘর ওয়াপসি-র হাত ধরে তৃণমূলেরও হালিশহর, নৈহাটির মত পুরসভায় ওয়াপসি হয়। ফের ক্ষমতায় ফেরে তৃণমূল। এবার সেই তালিকায় সম্ভবত যুক্ত হতে চলেছে অর্জুন সিংয়ের দুর্গ বলে খ্যাত ভাটপাড়া পুরসভা।
বুধবার ফের মাস্টার স্ট্রোক দেখিয়েছে তৃণমূল। এই পুরসভার ১৮ জন তৃণমূল কাউন্সিলর লোকসভা নির্বাচনের পর দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেন। ফলে বোর্ড বিজেপির দখলে চলে যায়। বুধবার এঁদের মধ্যে ১২ জন ফের তৃণমূলে ফিরে এলেন। এই ঘর ওয়াপসি-র হাত ধরে এবার হয়তো ভাটপাড়াও তৃণমূল ফিরে পেতে চলেছে। আপাতত ৩২ আসনের বোর্ডে ১৭ জন কাউন্সিলর তৃণমূলের। ফলে সংখ্যা গরিষ্ঠতাও তাদের হচ্ছে।
এদিনের ঘর ওয়াপসি পর হয়তো ভাটপাড়া পুরসভায় অনাস্থা আনতে চলেছে তৃণমূল। সেখানে ভোটাভুটি হলে তাদের এই মুহুর্তে যা শক্তি হল তাতে ফের ভাটপাড়া তৃণমূল দখল করে নেবে বলেই নিশ্চিত রাজনৈতিক মহল। এদিকে লোকসভা নির্বাচনের পর তৃণমূল থেকে কাউন্সিলররা বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় বিজেপি যে কটি পুরসভা দখল করেছিল তার শেষ প্রদীপ হয়ে বেঁচে আছে ভাটপাড়া। সেটাও তৃণমূল দখল করে নিলে ফের বিজেপির হাত শূন্য হয়ে যাবে। অর্জুন সিং থাকা সত্ত্বেও ভাটপাড়াতে কীভাবে ১২ জন কাউন্সিলরের ঘর ওয়াপসি হল তা নিয়ে বিজেপির অন্দরমহলেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।