সবে তখন বিমান লখনউতে অবতরণ করেছে। বিমান থেকে নিচে নামতেই তাঁদের ঘিরে ধরা হয়। ঘিরে নেয় পুলিশ। তারপর টারম্যাক থেকে বাসে উঠতেই বাস থেকে বাকি যাত্রীদের নামিয়ে দেওয়া হয়। রানওয়ের একটি জায়গায় তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁরা ধর্নায় বসে পড়েন। এভাবেই তাঁদের অভিজ্ঞতা সকলের সঙ্গে শেয়ার করেছেন তৃণমূল সাংসদ নাদিমূল হক। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দীনেশ ত্রিবেদী ও ৩ তৃণমূল সাংসদের একটি প্রতিনিধিদল রবিবার বিকেলে লখনউ বিমানবন্দরে হাজির হলে তাঁদের বিমানবন্দরেই এভাবেই আটকে দেওয়া হয়। লখনউতে তাঁদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি।
তৃণমূল সাংসদরা যাচ্ছিলেন গত ১৯ ডিসেম্বর লখনউতে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সামিল হয়ে আহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে। তাঁদের লখনউ বিমানবন্দর থেকে নিতে এসেছিলেন সমাজবাদী পার্টির কয়েকজন নেতা। কিন্তু তাঁদের বিমানবন্দরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। আর তৃণমূল প্রতিনিধিদলকে বাইরে বার হতে দেওয়া হয়নি।
পুলিশ অবশ্য জানিয়েছে লখনউয়ে এখন ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। ফলে তারা তৃণমূল প্রতিনিধিদলকে শহরে প্রবেশ করতে দেয়নি। তারা মনে করছে তৃণমূল প্রতিনিধিদল লখনউতে প্রবেশ করলে পরিস্থিতি ফের প্রতিকূল হয়ে উঠতে পারে। ফলে তাদের বিমানবন্দরেই আটকে দেওয়া হয়েছে। পুলিশের তরফে এও জানিয়ে দেওয়া হয়। কোনও একটি বিমানে তৃণমূল প্রতিনিধিদলকে হয় দিল্লি অথবা কলকাতা পাঠিয়ে দেওয়া হবে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা