National

হাথরাসে যেতে বাধা, ডেরেক ও’ব্রায়েনকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিল পুলিশ

তৃণমূল প্রতিনিধিদলকে হাথরাসে নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা রতে যেতে দিল না যোগী রাজ্যের পুলিশ। ডেরেক ও’ব্রায়েনকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেয় তারা।

হাথরাস (উত্তরপ্রদেশ) : হাথরাসের ১৯ বছরের নির্যাতিতার মৃত্যুর পর তাঁর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গত বৃহস্পতিবার যাওয়ার চেষ্টা করেন রাহুল গান্ধী ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। কিন্তু তাঁদের অনেক আগেই আটকে দেয় যোগী রাজ্যের পুলিশ। রাহুল গান্ধীকে ধাক্কা মেরে ফেলেও দেওয়া হয়।

রাহুল গান্ধী নিজে অভিযোগ করেন পুলিশ তাঁর ওপর লাঠিচার্জ করেছে। ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়েছে। পরে তাঁকে আটকও করে পুলিশ। এই ঘটনার পর শুক্রবার সকালে তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েনের নেতৃত্বে তৃণমূল কংগ্রেসের একটি প্রতিনিধিদল হাথরাসের নির্যাতিতার বাড়িতে তাঁর মৃত্যুর পর সমবেদনা জানাতে যেতে চেষ্টা করে।


কিন্তু ওই নির্যাতিতার গ্রামের বাড়ি থেকে দেড় কিলোমিটার দূরেই তাঁদের পথ আটকায় পুলিশ। প্রতিনিধি দলে ছিলেন সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, প্রতিমা মণ্ডল এবং প্রাক্তন সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর।

পুলিশ পথ আটকালে ডেরেক ও’ব্রায়েন তাঁদের বোঝানোর চেষ্টা করেন যে তাঁরা নির্যাতিতার বাড়িতে গিয়ে সমবেদনা জানিয়ে চলে আসবেন। কিন্তু পুলিশ রাজি হয়নি।


ডেরেক ও’ব্রায়েন এরপর পুলিশকে জানান তিনি যাবেন না। শুধু তাঁদের তরফে ২ জন মহিলা সাংসদকে অনুমতি দেওয়া হোক সেখানে যাওয়ার। কিন্তু তাতেও পুলিশ অনড় অবস্থান স্পষ্ট করে।

বেশ কিছুক্ষণ বোঝানোর পালা চলার পর সেখানেই অবস্থানে বসে তৃণমূল প্রতিনিধি দল। পুলিশর সঙ্গে তাঁদের কিছুটা ধস্তাধস্তিও হয়। তাতে এক সময় পুলিশের ধাক্কা খেয়ে মাটিতেও পড়ে যান সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন।

পরে ডেরেক বলেন, তাঁরা কোভিড প্রোটোকল মেনে আলাদা আলাদা হয়ে যাচ্ছিলেন নির্যাতিতার বাড়িতে। তাঁদের সঙ্গে কোনও অস্ত্র ছিলনা। পুলিশ তাঁদের পথ আটকাল কেন? যোগী সরকারের রাজ্যে জঙ্গলরাজ চলছে বলেও কটাক্ষ করেন ডেরেক।

পুলিশ অবশ্য দাবি করেছে ওই নির্যাতিতার ওপর শারীরিক অত্যাচার হয়েছে কিন্তু তাঁর সঙ্গে জোর করে কোনও কায়িক সম্পর্ক তৈরি করার চেষ্টা হয়েছে বলে ময়নাতদন্তে উল্লেখ নেই। পুরোটাই গুজব রটেছে বলেও দাবি করা হয়। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button