বিজেপি বিধায়ক রাজেশ মিশ্রর মেয়ে সাক্ষী ও অজিতেশ কুমারের বিয়ে সম্পূর্ণ বৈধ। সোমবার একথা স্পষ্ট করে দিল এলাহাবাদ হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে পুলিশকে আদালত নির্দেশ দিয়েছে এই দম্পতির সুরক্ষার জন্য যেন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। এদিন সাক্ষী ও অজিতেশের আইনজীবী আদালতকে জানান, কালো কোট পরা কয়েকজন দুষ্কৃতি একেবারে আদালত চত্বরেই তাঁর মক্কেল সাক্ষী ও অজিতেশের ওপর আক্রমণ চালায়। যদিও অল্পের জন্য রক্ষা পান তাঁরা।
সাক্ষী ও অজিতেশের আইনজীবীর বক্তব্য শোনার পর ওই সদ্য বিবাহিত দম্পতিকে আদালত চত্বরে থাকার কথা জানান বিচারপতি। সেইসঙ্গে পুলিশকে তাঁদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে বলেন। যদিও পুলিশের পাল্টা দাবি আদালত চত্বরে সাক্ষী ও অজিতেশের ওপর হামলার কোনও ঘটনা ঘটেনি। তবে তাঁদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা হবে বলেও জানিয়ে দিয়েছেন পুলিশ আধিকারিকরা।
গত ৪ জুলাই পরিবারের অমতেই দলিত যুবক অজিতেশ কুমারকে বিয়ে করেন সাক্ষী। উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজের একটি মন্দিরে তাঁদের বিয়ে হয়। তারপর থেকেই নাকি হন্যে হয়ে তাঁদের খুঁজছে সাক্ষীর দাদা এবং তাঁর বাবার পাঠানো গুণ্ডারা। তাঁদের মেরে ফেলার জন্যই খুঁজে বেড়াচ্ছে তারা। অন্তত এমনই দাবি একটি ভিডিও বার্তায় করেন সাক্ষী। বিয়ের পর থেকে তাঁরা পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। সাক্ষীর ভিডিও বার্তায় যেমন আকুতি ধরা পড়েছে, তেমনই একটা মরিয়া ভাবও ছিল প্রবল।
তিনি সাফ জানান, যদি তাঁকে মরতেই হয়, তবে তিনি হয়তো মরে যাবেন। কিন্তু অন্যদেরও রেহাই দিয়ে যাবেন না। সেইসঙ্গে বাবার উদ্দেশ্যে সাক্ষী বলেন, তিনি যেন নিজের মত করে রাজনীতি করেন, শান্তিতে থাকেন। আর তাঁদেরও শান্তিতে থাকতে দেন। তাঁদের মেরে ফেলার সম্ভাবনা প্রবল বলে জানিয়ে পুলিশের সাহায্যও চান সাক্ষী। সেই ভিডিও বার্তা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। পুলিশ জানায় তারা ওই দম্পতিকে সবরকম সুরক্ষা দিতে প্রস্তুত।
সাক্ষী মিশ্র বরেলির বিজেপির বিধায়ক রাজেশ মিশ্রর মেয়ে। মেয়ে এক ব্রাহ্মণ পরিবারের সন্তান হয়েও এক দলিত যুবককে বিয়ে করা মেনে নিতে পারেননি রাজেশ মিশ্র। ফলে লুকিয়ে মন্দিরে বিয়ে করেন দুজনে। সেই খবর কানে আসার পর থেকই নাকি মেয়ে ও জামাইকে হন্যে হয়ে খুঁজছিল রাজেশ মিশ্রর গুণ্ডারা। তাঁদের হাতে পেলে মেরে ফেলা হবে বলেই দাবি করেছিলেন সাক্ষী।
যদিও রাজেশ মিশ্র বলেন, তাঁর মেয়ে সাবালিকা। তিনি চাইলে যাকে খুশি বিয়ে করতে পারেন। তবে তিনি চিন্তিত ২টি কারণে। এক, অজিতেশ তাঁর মেয়ের চেয়ে প্রায় ৯ বছরের বড়। ফলে বয়সের ফারাক রয়েছে। দুই, অজিতেশ এখনও ঠিকঠাক রোজগার করেননা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা