মেধাবী ছাত্রীর আইআইটিতে ভর্তির টাকা মেটালেন বিচারপতি, কড়া নির্দেশও দিলেন
স্রেফ অর্থের অভাবে আটকে গিয়েছিল আইআইটিতে ভর্তি। মেধাবী ছাত্রী শেষ আশা নিয়ে পৌঁছেছিলেন আদালতে। অবশেষে বিচারপতি পাশে দাঁড়ালেন। কড়া নির্দেশও দিলেন।
ফের একবার মেধাকে পিষে দিল টাকা। ভর্তির টাকা মেটাতে না পারার জন্য সব বাধা পার করে আইআইটি-র দরজায় পৌঁছেও ভর্তি হতে পারেননি এক মেধাবী ছাত্রী। অবশেষে ভর্তির টাকা মেটানোর জন্য একটু সময় চেয়েছিলেন তিনি। সেটুকুও জোটেনি।
অনেক স্বপ্ন নিয়ে কঠিন পরিশ্রমে আইআইটি-র দরজায় পৌঁছনো মেয়েটা হেরে যাননি। পৌঁছন আদালতে। সেখানে বিচার চায় তিনি।
এলাহাবাদ হাইকোর্টে সংস্কৃতি রঞ্জন নামে ওই ছাত্রী আবেদনে জানান যে, ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষায় ৯৪ শতাংশ এবং হাইস্কুলে ৯৫.৭ শতাংশ নম্বর নিয়ে পাশ করার পর তিনি জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষায় বসেন। সেখানে তিনি ৯২.৭৭ শতাংশ নিয়ে সফলভাবে উত্তীর্ণ হয়ে গত সেপ্টেম্বরে বসেন জেইই অ্যাডভান্স-এ।
সেখানেও সাফল্যের সঙ্গেই উত্তীর্ণ হন। এরপর কাউন্সিলিংয়ে ডাকা হয় তাঁকে। সেখানে তাঁকে জানানো হয় তিনি আইআইটি বিএইচইউ-র ম্যাথম্যাটিকস ও কম্পিউটিং-এ পড়ার সুযোগ পেয়েছেন। এবারই হল সমস্যা।
ভর্তির জন্য নির্দিষ্ট দিনের মধ্যে ১৫ হাজার টাকা ভর্তির ফি জোগাড় করতে হত তাঁকে। কিন্তু দরিদ্র দলিত ছাত্রীর পক্ষে ওই টাকা সময়ের মধ্যে জোগাড় করা সম্ভব হয়নি।
টাকা জোগাড়ে একটু সময় লাগবে বলে আবেদন করেন তিনি। কিন্তু তাঁর দাবি, সিট অ্যালোকেশন অথরিটি এবং আইআইটি বিএইচইউ তাতে কর্ণপাত করেনি। অগত্যা সংস্কৃতি হাজির হন আদালতে।
এলাহাবাদ হাইকোর্টের বিচারপতি দীনেশ কুমার সিং-এর বেঞ্চ সব শোনার পর সিট অ্যালোকেশন অথরিটি এবং আইআইটি বিএইচইউ-কে নির্দেশ দেয় তারা যেন ৩ দিনের মধ্যে ওই ছাত্রীকে বিশেষভাবে সিট তৈরি করে ভর্তি নেয়।
শুনানির পর সংস্কৃতিকে ডেকে ফি-এর ১৫ হাজার টাকাও নিজের পকেট থেকে দিয়ে দেন বিচারপতি। জানান ৩ দিনের মধ্যে সংস্কৃতি যেন অবশ্যই সব প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে গিয়ে ভর্তি হয়ে যান। এক মেধাবী দুঃস্থ ছাত্রীর পাশে বিচারপতির এভাবে দাঁড়ানোকে ধন্য ধন্য করছেন সকলে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা