প্রয়াত দেশের অন্যতম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব অমর সিং
চলে গেলেন সমাজবাদী পার্টি নেতা অমর সিং। সিঙ্গাপুরে প্রয়াত হলেন দেশের এই অন্যতম উজ্জ্বল রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব।
নয়াদিল্লি : কিডনির সমস্যায় অনেকদিন ধরেই ভুগছিলেন। কিডনির চিকিৎসা করাতেই গিয়েছিলেন সিঙ্গাপুরে। কিন্তু সেই সিঙ্গাপুরেই শেষ হল তাঁর জীবন। ভারতে আর ফেরা হল না। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৬৪ বছর। সেই অর্থে কিছুটা অকালেই চলে গেলেন দেশের রাজনৈতিক মানচিত্রের এই বড় নাম। সিঙ্গাপুরের হাসপাতালে কিডনির চিকিৎসা চলাকালীনই চলে গেলেন অমর সিং। তিনি কেবল সমাজবাদী পার্টির নেতাই ছিলেননা, তাঁকে বলা হত দেশের অন্যতম পাওয়ার ব্রোকার। এছাড়া অমর সিং ছিলেন এমন এক ব্যক্তিত্ব যাঁর সঙ্গে সব দলের নেতাদেরই যথেষ্ট সদ্ভাব ছিল।
অমর সিং যেমন সমাজবাদী পার্টির একটা বড় স্তম্ভ ছিলেন তেমন দল থেকে ২ বার বহিষ্কৃতও হন। ২০১৭ সালে অখিলেশের সঙ্গে তাঁর বাবা মুলায়ম সিং যাদবের মনোমালিন্যে অমর সিং দল থেকে বহিষ্কৃত হন। তারপর থেকে অবশ্য রাজনীতিতে খুব সক্রিয় অবস্থায় তাঁকে দেখা যায়নি। অসুস্থ ছিলেন। চিকিৎসা চলছিল। তাঁর দ্বিতীয় কিডনি প্রতিস্থাপনও সফল হয়েছিল। কিন্তু পেটের সমস্যা থেকে তিনি মুক্তি পাচ্ছিলেন না। পেটে সংক্রমণ জীবনের শেষ পর্যন্ত রয়েই গেল। সেই অবস্থাতেই চলে গেলেন পোড় খাওয়া এই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব।
অমর সিংয়ের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নাইডু। শোক ব্যক্ত করেছেন এক সময় উত্তরপ্রদেশ রাজনীতির অন্যতম প্রধান মুখ তথা বর্তমান প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। শোক প্রকাশ করেন বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। এছাড়াও অমর সিংয়ের মৃত্যুতে বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃত্ব শোক প্রকাশ করেছেন।
মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানও অমর সিংয়ের প্রয়াণে শোক প্রকাশ করেন। রাজ্যসভার সাংসদ অমর সিংয়ের প্রয়াণে শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। প্রধানমন্ত্রী বলেন, অমর সিং ছিলেন এক প্রাণবন্ত জননেতা। যাঁর সঙ্গে সকলের সম্পর্ক সুন্দর ছিল। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা