দুর্গম পথে পাড়ি দিয়ে অমরনাথ গুহায় হাজির হন হাজার হাজার পুণ্যার্থী। সেখানে বরফের দ্বারা প্রাকৃতিক নিয়মে তৈরি শিবলিঙ্গের দর্শন করেন। সারা বছরে মাত্র ৪৫ দিন এই গুহায় পৌঁছে অমরনাথ লিঙ্গ দর্শনের সৌভাগ্য হয় পুণ্যার্থীদের। বাকি সময় এই গুহা থাকে বন্ধ। হিমালয়ের অনেকটা উঁচুতে অবস্থিত এই গুহা চলে যায় বরফের মোটা চাদরের তলায়। জুলাই ১ থেকে শুরু হয়েছে এবারের অমরনাথ যাত্রা। ইতিমধ্যেই লক্ষাধিক মানুষ অমরনাথ লিঙ্গ দর্শন করে ফেলেছেন। এখনও হাজার হাজার মানুষ অমরনাথের দিকে প্রতিদিন পাড়ি দিচ্ছেন। এমনই একদল পুণ্যার্থী এগোচ্ছিলেন অমরনাথের পথে। কিন্তু জম্মু কাশ্মীরের রামবান জেলায় তাঁরা শ্যুটিং স্টোনের কবলে পড়লেন।
শ্যুটিং স্টোন। বাস্তবে যাকে বলা হয় পাহাড়ের গা বেয়ে গড়িয়ে আসা বড় পাথর। নানা কারণে উঁচু পাহাড়ে গা বেয়ে যেমন ধস নামে তেমনই অনেক সময় নেমে আসে বিশাল প্রস্তরখণ্ড। যত নিচের দিকে নামে পাহাড়ের গা বেয়ে তা ততোধিক জোরে ছুটতে থাকে। এভাবে সমতলে নামা পর্যন্ত তা ক্রমশ গতি বাড়িয়ে গড়াতে থাকে। তাই যখন সেটি সমতলে পৌঁছয় তখন তা গোলার মত তীব্র গতি সম্পন্ন হয়। এজন্যই এদের শ্যুটিং স্টোন বলে। তেমনই একটি অতিকায় পাথর পাহাড়ের গা বেয়ে গড়িয়ে সোজা এসে আছড়ে পড়ে পুণ্যার্থীদের নিয়ে যাওয়া ট্যাক্সিতে।
জম্মু কাশ্মীরের জম্মু-শ্রীনগর হাইওয়ের ওপর দিগদল এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। আহত যাত্রীদের সেই দুমড়ে যাওয়া ট্যাক্সি থেকে উদ্ধার করে দ্রুত হাসপাতালে পাঠানো হয়। এই রামসু-রামবান এলাকায় রাস্তা ঘেঁষে পরপর রয়েছে খাড়াই পাহাড়। সেগুলি উঁচুও খুব। ফলে এইসব পাহাড় থেকে শ্যুটিং স্টোন গড়িয়ে নামা নতুন নয়। অনেক সময়ই জম্মু-শ্রীনগর হাইওয়ের ওপর গড়িয়ে নামে প্রস্তরখণ্ড। তবে সব সময় তা কোনও যানকে আঘাত করেনা। বা কোনও পাথর গড়াচ্ছে দেখলে আগেই থেমে যায় যানবাহন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা