অমরনাথ যাত্রা ১৪ তম দিনে পড়ল সোমবার। তারমধ্যেই মোট ৬ জনের মৃত্যু হল এই দুর্গম গিরিপথ অতিক্রম করতে গিয়ে। এই ৬ জনের মধ্যে সোমবারই ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। রাজস্থান থেকে এসেছিলেন ৬৩ বছরের সুন্দর দেবী। ওই বৃদ্ধা বালতাল বেস ক্যাম্পে পৌঁছনোর পর হৃদরোগে আক্রান্ত হন। ওখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।
এছাড়া পঞ্জাব থেকে তীর্থভ্রমণে আসা ৫২ বছরের ডিম্পল শর্মা দুর্গম পথ অতিক্রম করে প্রায় অমরনাথ গুহা মুখের কাছে পৌঁছে গিয়েছিলেন। আর সামান্য পথ অতিক্রম করতে পারলেই অমরনাথ লিঙ্গের দর্শন করতে পারতেন তিনি। যার জন্য এই কষ্ট সহ্য করে এতদূর আসা। কিন্তু সেই লিঙ্গ দর্শন তাঁর অধরাই রয়ে গেল। গুহার কাছেই তিনিও হৃদরোগে আক্রান্ত হন। ওখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।
মধ্যপ্রদেশ থেকে এসেছিলেন ৩৫ বছরের অজয় মালব্য। এমন কিছু বয়স নয়। তিনিও বালতাল ক্যাম্পের কাছে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। জ্ঞান হারান অজয় মালব্য। তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। ১৪ দিনের মধ্যে এভাবে ৬ জন অমরনাথ যাত্রীর মৃত্যু হল বলে কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে। যদিও প্রতিদিনই হাজার হাজার মানুষ অমরনাথ গুহার দিকে যাত্রা করছেন। দুর্গম পথ অতিক্রম করে দর্শন করছেন অমরনাথ লিঙ্গের।
অমরনাথ যাত্রা প্রতি বছর ৪৫ দিনের জন্য হয়। বছরের এই ৪৫টি দিন সাধারণ মানুষ পোঁছতে পারেন এই শিবলিঙ্গের কাছে। ২০১৯ সালে ২ জুলাই থেকে শুরু হয়েছে যাত্রা। চলবে ১৫ অগাস্ট পর্যন্ত। গত ১৪ দিনে ১ লক্ষ ৮০ হাজার মানুষ অমরনাথ লিঙ্গ দর্শন সম্পূর্ণ করেছেন। এখনও বহু পুণ্যার্থী অপেক্ষায় অমরনাথ গুহায় পৌঁছনোর জন্য। হাতে এখনও অনেক দিন। তবে এই দুর্গম যাত্রাপথে অনেক সময়ই মানুষের শারীরিক সমস্যা হয়। সমতল থেকে ৩ হাজার ৮৮৮ মিটার উচ্চতায় অমরনাথ গুহা অবস্থিত। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা