খারাপ আবহাওয়ার কারণে মাঝে ১ দিন বন্ধ ছিল যাত্রা। আবহাওয়ার কারণে জম্মু-শ্রীনগর হাইওয়ের অবস্থা খারাপ হওয়ায় কোনও ঝুঁকি না নিয়ে সেখানেই পুণ্যার্থীদের আটকে দেওয়া হয়। জানিয়ে দেওয়া হয় বন্ধ করা হচ্ছে অমরনাথ যাত্রা। অবশ্যই আবহাওয়া খারাপ থাকার কারণে। শুক্রবার অবশ্য অমরনাথ গুহায় হাজির হন ৫ হাজার ৭৪৫ জন পুণ্যার্থী। কিন্তু তারপর আর অমরনাথ লিঙ্গ দর্শনে কেউ পাহাড়ে উঠতে পারেননি। ফলে পুণ্যার্থীরা বুঝতে পারছিলেন না কবে তাঁরা ফের অমরনাথ যাত্রা শুরু করতে পারবেন। সেই সমস্যা অবশ্য ১ দিনেই মিটে গেছে। শনিবার থেকে ফের শুরু হয়েছে যাত্রা।
শনিবার সকালেই ভগবতী নগর যাত্রী নিবাস ছেড়ে ৩ হাজারের ওপর পুণ্যার্থী বালতাল ও পহেলগামের দিকে এগিয়ে গেছেন। বালতাল ও পহেলগাম, এই রুট দিয়েই অমরনাথ গুহার উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেন পুণ্যার্থীরা। আবহাওয়ার উন্নতি হওয়ায় স্বাভাবিক হয়েছে অমরনাথ যাত্রা। চলতি বছরে অমরনাথ যাত্রায় পুণ্যার্থীর সংখ্যা অনেক রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। ইতিমধ্যেই ৩ লক্ষ ১৪ হাজারের ওপর পুণ্যার্থী অমরনাথের তুষার লিঙ্গ দর্শন করে ফেলেছেন। যা অনেক আগেই গত বছরের সম্পূর্ণ অমরনাথ দর্শনের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে।
এবার অমরনাথ যাত্রা ঠিক কতজন পুণ্যার্থীর দর্শন দিয়ে শেষ হবে তা পরিস্কার নয়। আগামী ১৫ অগাস্ট শেষ হচ্ছে অমরনাথ যাত্রা। শ্রাবণী পূর্ণিমা উৎসবের দিন শেষ হচ্ছে যাত্রা। তারপর ১ বছরের অপেক্ষা। এবার ২ জুলাই থেকে অমরনাথ যাত্রা শুরু হয়। চলবে দেড় মাস। সারা বছরের এই সময়টুকুই অমরনাথ গুহা সাধারণ মানুষের দর্শনের জন্য খুলে দেওয়া হয়। তারপর থেকে প্রকৃতির কারণে বন্ধ থাকে যাত্রা। প্রতিবছর এই জুলাই মাসেই অমরনাথ যাত্রার সূচনা হয়ে থাকে। এখনও পর্যন্ত দুর্গম অমরনাথ যাত্রায় ২৬ জন পুণ্যার্থীর মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও ২ স্বেচ্ছাসেবক ও ২ সুরক্ষাকর্মীর মৃত্যু হয়েছে। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৩ হাজার ৮৮৮ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত অমরনাথ গুহা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা