অমরনাথের কাছে পাহাড়ে মেঘ ভাঙা বৃষ্টি, হতাহতের সংখ্যা বাড়ছে, নিখোঁজ বহু
অমরনাথ যাত্রা এই মাসের শুরুতেই শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই বহু পুণ্যার্থী অমরনাথ গুহার তুষার লিঙ্গ দর্শন করেছেন। তারমধ্যেই এদিন ঘটে গেল এক প্রাকৃতিক দুর্যোগ।
অমরনাথ যাত্রা খুব কম দিনের জন্যই হয়ে থাকে। মূলত জুলাই মাস জুড়ে অমরনাথ গুহার তুষার লিঙ্গ দর্শন করতে ভিড় জমান ভক্তেরা। অগাস্ট মাসের প্রথম দিকে ঝুলন যাত্রার দিন বন্ধ হয় অমরনাথ যাত্রা।
এই কটা দিনের যাত্রায় আবার বাধ সাধে বৃষ্টি বিঘ্নিত প্রকৃতি। প্রতিবছর বর্ষাকালেই অমরনাথ দর্শন অনুষ্ঠিত হয়। সে সময় বৃষ্টিও হয় চুটিয়ে।
এবার অমরনাথ যাত্রা বেশ সুষ্ঠুভাবেই এগোচ্ছিল। কিন্তু বাধ সাধল প্রকৃতি। হিমাচলের পর এবার অমরনাথ গুহার কাছেই মেঘ ভাঙা বৃষ্টি হয় শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ। যার জেরে ১৫ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে। বহু মানুষ নিখোঁজ।
এঁরা সকলেই অমরনাথের পথের পুণ্যার্থী বা পুণ্যার্থীদের জন্য রান্নাবান্নার জন্য যুক্ত মানুষজন। কারণ পাহাড়ের ফাঁকে তৈরি কমিউনিটি কিচেন ধুয়ে যায় এই মেঘ ভাঙা বৃষ্টিতে।
মেঘ ভাঙা বৃষ্টি নামার পর পরিস্থিতি ঘোরাল আকার নেয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে উদ্ধারকাজ শুরু হয় দ্রুত। হতাহতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। বহু মানুষ নিখোঁজ। হড়পা বানে অনেকেই ভেসে গেছেন।
পাহাড়ের অনেকটা উপরে হওয়া এই মেঘ ভাঙা বৃষ্টির পর এনডিআরএফ এবং এসডিআরএফ উদ্ধারকাজে নামে। উদ্ধারে নামে বায়ুসেনাও। অনেককে বায়ুসেনার বিশেষ বিমানে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে।
মেঘ ভাঙা বৃষ্টিতে কয়েকদিন আগেই হিমাচলে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। ক্ষয়ক্ষতি প্রচুর। এবার অমরনাথ গুহার কাছেই হল মেঘ ভাঙা বৃষ্টি।
মেঘ ভাঙা বৃষ্টি হল খুব অল্প সময়ের মধ্যে একটি নির্দিষ্ট ভৌগলিক অবস্থানে হওয়া অতি প্রবল বৃষ্টিপাত। যার জেরে সামান্য সময়ের মধ্যে সেখানে হড়পা বান ভয়ংকর আকার নেয়। বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। অল্প সময়ের মধ্যে এতটাই বৃষ্টি মেঘ থেকে নেমে আসে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা