World

শুকিয়ে কাঠ একাধিক নদী, শুকোচ্ছে অ্যামাজন, ধুঁকছে পৃথিবীর ফুসফুস

একের পর এক নদী শুকিয়ে কাঠ হয়ে যাচ্ছে। নদীর জল উধাও হয়ে এখন শুধু বালি আর বালি। এমন দুর্দিনে প্রমাদ গুনছে নদীর ধারের হাজার হাজার পরিবার।

সামান্য জলের জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা হাঁটতে হচ্ছে। তাও আবার নদীর উপর দিয়ে। জল নেই। পড়ে আছে আগুনে গরম বালি। তার ওপর দিয়েই হেঁটে চলা। বিশ্বের সবচেয়ে বেশি জল থাকা নদী বলা হয় অ্যামাজনকে। অ্যামাজনের অরণ্য রেন ফরেস্ট বা বৃষ্টির অরণ্য বলে বিখ্যাত।

এখানে বৃষ্টি হওয়া নিয়ে ভাবতে হয়না। জলের অভাব হয়না। সেই অ্যামাজন নদীই শুকোচ্ছে। তবে অ্যামাজনের যত না বেহাল দশা তার চেয়ে অনেক বেশি খারাপ অবস্থা তার উপনদীগুলির। যার মধ্যে সোলিমোসের অবস্থা সবচেয়ে শোচনীয়।


অতিকায় একটা টলটলে জলের নদী শুকিয়ে কাঠ হয়ে গেছে। জল নেই বললেই চলে। এমন অবস্থা যে নদীর বালির ওপর পড়ে আছে প্রচুর নৌকা, লঞ্চ। যা জলের অভাবে আটকে পড়েছে চরায়।

নদীর ধারে একের পর এক গ্রাম জলের অভাবে শুকোচ্ছে। বাসিন্দারা এতটুকু জলের জন্য বালির ওপর দিয়েই হেঁটে চলেছেন। বালি খুঁড়ে জল পাওয়ার চেষ্টা করছেন অনেকে।


ব্রাজিল ও কলম্বিয়ার অবস্থা শোচনীয়। সেখানে খরা চরম আকার নিয়েছে। বিশ্ব উষ্ণায়নের ভয়ংকর প্রভাব পড়েছে অ্যামাজন রেন ফরেস্টে। পৃথিবীর ফুসফুস বলে বিখ্যাত অ্যামাজন রেন ফরেস্ট এখন বৃষ্টির অভাবে ধুঁকছে। যেকোনও দিন দাবানলের গ্রাসে পড়তে পারে এই ঘন সবুজ অরণ্য।

কলম্বিয়ার অবস্থাও শোচনীয়। অ্যামাজনের উপনদীগুলি শুকিয়ে যেতে বসায় সেখানেও জলাভাব চরমে পৌঁছেছে। সেখানকার গ্রামের বাসিন্দারা এখন আকাশের দিকে চেয়ে প্রতিনিয়ত বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করে চলেছেন।

গত জুলাই মাস থেকে এখানকার বিভিন্ন নদীতে ফেরি চলাচল বন্ধ। জল নেই। শুকিয়ে গেছে নদী। বৃষ্টি না হওয়ায় এখন শুধুই কঙ্কালসার চেহারা।

নদী বলতে এখন মাটি আর বালি। অনেক নদীর ওপর নৌকা নয়, হেঁটেই পারাপার চলছে। এমন ভয়ংকর খরা অনেকেই তাঁদের জীবদ্দশায় দেখেননি বলে জানিয়েছেন কলম্বিয়ার বাসিন্দারা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button