সব ধরণের ক্রিকেট থেকে অবসরের কথা বিসিসিআই-কে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিলেন আম্বাতি রাইডু। রাইডু যে অবসর নিলেন তা বিসিসিআই কর্তারাও নিশ্চিত করেছেন। তবে রাইডু এ কথা ঘোষণা করতে কোনও সাংবাদিক সম্মেলন করেননি। তাঁকে যোগাযোগও কেউ করে উঠতে পারেননি। ৩৩ বছরের রাইডু বিশ্বকাপে ভারতীয় দলে জায়গা না পেয়ে হতাশ ছিলেন। তাঁর জায়গায় দলে জায়গা পান বিজয় শঙ্কর। পরে অবশ্য প্রয়োজনে বদলি হিসাবে ২টি নাম ঘোষণা করা হয়। ঋষভ পন্থ ও আম্বাতি রাইডু।
শিখর ধাওয়ান ও বিজয় শঙ্কর চোট পেয়ে দল থেকে ছিটকে যাওয়ার পর এই দুজনের জায়গা পাওয়ার কথা। সেখানে ঋষভ পন্থকে নিয়ে যাওয়া হলেও আম্বাতি রাইডুকে ডাকা হয়নি। বরং তাঁর জায়গায় হঠাৎ মায়াঙ্ক আগরওয়ালকে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এটা বোধহয় ভালভাবে নিতে পারেননি রাইডু। ফলে হয়তো প্রবল অভিমানেই ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন তিনি। তবে বিদায় হয়তো তিনি ভারতীয় ক্রিকেটকে জানাতে পারেন। ইতিমধ্যেই তাঁকে আইসল্যান্ড তাদের দেশে স্থায়ীভাবে থাকার অফার দিয়েছে। বিনিময়ে তিনি আইসল্যান্ডের হয়ে খেলবেন। তবে এ নিয়ে আম্বাতি রাইডু কী ভাবছেন তা এখনও জানা যায়নি।
ভারতের হয়ে ৫৫টি একদিনের ম্যাচ খেলেছেন রাইডু। করেছেন ১ হাজার ৬৯৪ রান। যারমধ্যে ৩টি সেঞ্চুরি ও ১০টি হাফসেঞ্চুরি রয়েছে। এছাড়া দেশের হয়ে ৬টি টি-২০ খেলেছেন আম্বাতি। করেছেন ৪২ রান। সবচেয়ে বড় কথা রাইডুর ঝুলিতে রয়েছে অনেকটা অভিজ্ঞতা। তারপরও তিনি যেভাবে এবারের বিশ্বকাপে অংশ নিতে পারলেন না সেটাই তাঁকে সময়ের আগেই অবসর গ্রহণের সিদ্ধান্তের দিকে টেনে নিয়ে গেছে বলে মনে করছেন দেশের অনেক ক্রিকেটার।
প্রাক্তন ভারতীয় ব্যাটসম্যান তথা বর্তমানে বিজেপি সাংসদ গৌতম গম্ভীর এদিন আম্বাতি রাইডুর অবসর গ্রহণের জন্য সরাসরি নির্বাচকদের দায়ী করেছেন। নির্বাচকদের অবিবেচনার জন্যই রাইডু খেলা ছাড়লেন বলে সাফ মন্তব্য করেছেন গম্ভীর। আরও সুর চড়িয়ে গম্ভীর বলেন, যে ৫ জন নির্বাচক বসে আছেন তাঁদের কেরিয়ারের পুরো রান এক করলেও সেটা রাইডুর কেরিয়ারে করা রানের ধারে কাছে আসবে না। রাইডু ভারতের জন্য খেলে যেভাবে সেঞ্চুরি এবং হাফসেঞ্চুরি করেছেন, যেভাবে আইপিএল-এ দারুণ পারফর্মেন্স করেছেন, তারপরও তাঁকে এভাবে অবসর নিতে হওয়া ভারতীয় ক্রিকেটের জন্য অত্যন্ত দুঃখের বলে দাবি করেন গম্ভীর। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা