চিরতরে স্তব্ধ রেডিওর স্বর্ণযুগের কিংবদন্তি কণ্ঠে বেহনো অউর ভাইয়ো
একটা সময় ভারতের ঘরে ঘরে রেডিও ছিল মানুষের সবচেয়ে বড় বিনোদন। আর সেই বিনোদন দুনিয়াকে এক অন্য উচ্চতা দিয়েছিল যে কণ্ঠ তা চিরতরে স্তব্ধ হল ৯১ বছর বয়সে।
ভারতে একটা সময় ঘরে ঘরে রেডিও ছিল বিনোদনের শেষ কথা। বাড়ি থেকে বেরিয়ে সিনেমা দেখতে যাওয়া বা নাটক দেখতে যাওয়া ছাড়া ভারতীয়দের ঘরে বসে যে কোনও সময় বিনোদন বলতে ছিল রেডিও। সেই রেডিও শোনার ইচ্ছাকে শতগুণে বাড়িয়ে দিয়েছিলেন যিনি তাঁর নাম আমিন সায়ানি।
যাঁর ‘বিনাকা গীতমালা’ আজও বহু মানুষের স্মৃতিতে তাজা। এখনও তাঁর সেই ‘বেহনো অউর ভাইয়ো’ বহু মানুষের কানে বাজে। অনেক বয়স্ক মানুষ সেই কণ্ঠ কোথাও শুনলে এখনও স্মৃতির অতলে তলিয়ে যান।
সেই কিংবদন্তি রেডিও কণ্ঠ আমিন সায়ানি ৯১ বছরে প্রয়াত হলেন। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে চলে গেলেন আমিন সায়ানি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও তাঁর জীবনাবসানে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন।
আমিন সায়ানির এই চলে যাওয়া আদপে একটা যুগের সমাপ্তি ঘটাল। রেডিওর স্বর্ণযুগের একটা অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটল। রেডিওকে যে মানুষের কতটা কাছে আনা যায় কেবল বাচনভঙ্গির যাদুতে তার এক উদাহরণ হয়ে চরিতরে রয়ে গেলেন আমিন সায়ানি।
আজ টিভি, ইন্টারনেট, সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে রেডিও বিনোদন অনেকটাই কোণঠাসা। কিন্তু রেডিওর এই কণ্ঠের ইতিহাস চিরকাল চর্চিত হবে।
ভারতীয় রেডিওর প্রথম কিংবদন্তি রেডিও জকি আমিন সায়ানির সেই কথা, নমস্কার বেহনো অউর ভাইয়ো, ম্যায় আপকা দোস্ত আমিন সায়ানি বোল রাহা হুঁ, চিরদিন থেকে যাবে ভারতীয় রেডিওর উজ্জ্বলতম ইতিহাস হয়ে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা