খাবার পয়সা ছিলনা, খালিপেটেই স্কুলে যেতেন এই বিখ্যাত অভিনেত্রী
চরম দারিদ্র কাকে বলে তা তিনি অনুভব করেছেন। খালিপেটে স্কুলে যেতে হত তাঁকে। টিফিনেও খাবার জুটত না। সেসব দিন ভোলেননি বিখ্যাত অভিনেত্রী।
এখন তাঁকে বহু মানুষ চেনেন। অর্থও এসেছে জীবনে। নাম, যশ, খ্যাতিও ঝুলি ভরেছে। তাঁর একটা ছবি তোলার জন্য অপেক্ষায় থাকেন তাবড় সংবাদমাধ্যমের চিত্রগ্রাহকরা। কিন্তু তাঁর ছোটবেলাটা তিনি এই ঝলমলে জীবনেও ভুলতে পারেননি।
বিবিসি-র একটি রেডিও অনুষ্ঠানে তিনি তাঁর ছোটবেলার চরম দারিদ্রের কথা তুলে ধরেছেন। জানিয়েছেন তিনি তখন পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী। বাড়ি থেকে প্রতিদিন স্কুলে যেতেন না খেয়ে।
বাড়িতে খাবার তৈরির পয়সা তাঁর মায়ের কাছে ছিলনা। মা একা। তিনি সিঙ্গল মাদার। ৬ ছেলেমেয়ের মুখে প্রতিদিন খাবার তুলে দেওয়ার মত রোজগার তাঁর ছিলনা।
ফলে তাঁকে প্রতিদিন না খেয়ে স্কুলে যেতে হত। স্কুলে টিফিনের সময়ও খাবার জুটত না। খিদে পেত। কিন্তু কিছু করার ছিলনা। সেই চরম দারিদ্রের মধ্যে জীবনের লড়াই চালিয়ে যাওয়ার দিনগুলো তিনি ভুলতে পারেননি।
জানেন তিনি কে? তিনি ‘বার্বি’ সিনেমা খ্যাত অভিনেত্রী আমেরিকা ফেরেরা। তিনি ছিলেন হন্ডুরান অভিবাসী। তিনি তখন বুঝতে পারতেন না কেন তিনি খাবার পান না। কেন তাঁদের এমন অবস্থা। কেন খিদের জ্বালা নিয়ে দিন কাটাতে হয়।
পরে বুঝেছিলেন। এখন তিনি বিখ্যাত। ২০০২ সালে রিয়েল ওম্যান হ্যাভ কার্ভস দিয়ে তাঁর রূপোলী পর্দায় হাতেখড়ি। তারপর দীর্ঘ ২১ বছর ধরে পর্দায় দাপিয়ে অভিনয় করে চলেছেন তিনি। ঝুলিতে রয়েছে একের পর এক হিট সিনেমা। হালে বিখ্যাত সিনেমা বার্বি-তেও তিনি অন্যতম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা