
কর্ণাটকে কংগ্রেস-জেডিএস জোটের কাছে পরাজয় শিকার করতে হয়েছে বিজেপিকে। তাঁদের বিরুদ্ধে ঘোড়া কেনাবেচার চেষ্টার অভিযোগ সামনে এনেছে কংগ্রেস। আস্থা ভোটের আগেই বিজেপির সদ্য মুখ্যমন্ত্রী হওয়া ইয়েদুরাপ্পাকে হার স্বীকার করে নিতে হয়েছে। এই অবস্থায় কোণঠাসা অবস্থায় পৌঁছন বিজেপিকে বাঁচাতে এদিন আসরে নামেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। এদিন সাংবাদিক সম্মেলন করে অমিত শাহ বেশ কিছু বিষয় সামনে এনে কংগ্রেস ও জেডিএসকে পাল্টা কোণঠাসা করার চেষ্টা করেছেন। একের পর এক প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছেন কুশলী রাজনীতিবিদ।
অমিত শাহর দাবি তাঁরা কর্ণাটকে সবচেয়ে বড় দল হিসাবে সামনে এসেছেন। ম্যাজিক ফিগার থেকে মাত্র ৭টি আসন কম ছিল তাঁদের। ৬টি আসনে নোটার চেয়েও কম ভোটে হেরেছেন। কেবল যেখানে যেখানে তাঁদের কিছুটা সংগঠন দুর্বল ছিল সেখানে সেখানে হেরেছেন। অন্যদিকে কংগ্রেসের আসন অনেকটাই কমেছে। তাঁদের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেরেছেন। অনেক মন্ত্রী হেরেছেন। অন্যদিকে জেডিএসের ২২২টি আসনের মধ্যে সংগ্রহ মাত্র ৩৭টি আসন। অনেক জায়গায় জেডিএস প্রার্থীদের জামানত জব্দ হয়েছে। এই অবস্থায় জনাদেশ আসলে বিজেপির সঙ্গে ছিল বলেই দাবি করেন অমিত শাহ। সেক্ষেত্রে ভোটের প্রচারের সময়ে কংগ্রেস ও জেডিএস একে অপরকে কড়া ভাষায় আক্রমণও করে। তারপরও তারা জনাদেশ উপেক্ষা করেই জোট গড়েছে। ২ দল তাহলে এখন কিসের উৎসব পালন করছেন তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অমিত শাহ।
বিজেপি সবচেয়ে বড় দল হিসাবে সরকার গড়ার দাবি জানিয়েছিল বলে দাবি করে অমিত শাহ বলেন, কংগ্রেস ও জেডিএস তাঁদের বিধায়কদের পাঁচতারা হোটেলে বন্দি করে না রাখলে বিধায়কেরা তাঁদের কেন্দ্রে যেতেন। আর সেখানেই তাঁরা বুঝতে পারতেন জনতা কী চাইছে। কিন্তু হোটেলের মধ্যে থাকায় জনতার সেই ভাবনা তাঁদের কাছে পৌঁছয়নি। অমিত শাহ ঘুরিয়ে দাবি করেন, সেক্ষেত্রে জনতার চাপে বিধায়কদের বিজেপির পাশে দাঁড়াতে হত। যদিও এটাকে সবকিছুর অতি সরলীকরণ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ।