ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের মূর্তি তাঁরা নন, ভেঙেছে তৃণমূলের দুষ্কৃতিরা। বুধবার দিল্লিতে পাল্টা দাবি করলেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। গত মঙ্গলবার বিকেলে কলকাতায় ছিল অমিত শাহ-র রোড শো। রোড শো চলাকালীন অমিত শাহ-র গাড়ি বিদ্যাসাগর কলেজ পার করার পরই সেখানে হুলুস্থুল বেঁধে যায়। ভাঙচুর, অগ্নি সংযোগ হয়। সে সময় বিজেপি কর্মীরা বিদ্যাসাগরের আবক্ষ মূর্তি ভাঙে বলে অভিযোগ। সেই অভিযোগ এদিন নস্যাৎ করে বিজেপি সভাপতি দাবি করেন তৃণমূলই বরং তাঁদের ওপর হামলা চালিয়েছে। বিজেপি কর্মীদের উদ্দেশ্য করে হামলা হয় বলে দাবি করেছেন তিনি।
দিল্লিতে বিজেপি সদর দফতরে এক সাংবাদিক সম্মেলনে অমিত শাহ দাবি করেন, সারা দেশে ৬ দফার নির্বাচন শেষ হয়েছে। কোথাও কোনও গণ্ডগোল হয়নি। কেবল পশ্চিমবঙ্গে হয়েছে। তাই পরিস্কার এখানে তৃণমূলই অশান্তি পাকাচ্ছে। অমিত শাহ-র দাবি, মঙ্গলবার বিদ্যাসাগর কলেজের গেট বন্ধ ছিল। তাহলে ভিতরে ঢুকে বিজেপি কর্মীরা হামলা চালাবেন কীভাবে? ভোটের মুখে জনগণের সহানুভূতি আদায় করতে মূর্তি ভাঙার ষড়যন্ত্র করেছেন মুখ্যমন্ত্রীই বলে দাবি করেন অমিত শাহ।
অমিত শাহ এদিন দাবি করেন, বিদ্যাসাগর কলেজের গেট বন্ধ ছিল। ভিতর থেকে ক্রমাগত পাথর বর্ষণ হচ্ছিল। এটা তৃণমূলের চক্রান্ত। আরও সুর চড়িয়ে অমিত শাহ দাবি করেন তাঁকেও মেরে ফেলার চক্রান্ত হয়েছিল। কেবল সিআরপিএফ ছিল বলে মঙ্গলবার তিনি প্রাণে বেঁচে গেছেন। রাজ্যের পুলিশ সব দেখেও নীরব দর্শকের ভূমিকা নিয়েছিল বলে দাবি করেন বিজেপি সভাপতি। এদিন তাঁর বক্তব্যের সমর্থনে কিছু ছবিও তুলে ধরেন অমিত শাহ।
অমিত শাহ সাংবাদিক সম্মেলন করার কিছু পরে দুপুরে কলকাতায় সাংবাদিক সম্মেলন করেন কলকাতা উত্তরের বিজেপি প্রার্থী রাহুল সিনহা। তিনি অমিত শাহ-র সুরেই সুর মিলিয়ে তৃণমূলের দিকে মূর্তি দায় চাপিয়ে দিয়েছেন। তাঁর আরও দাবি, যে মোটরবাইক পোড়ানো হয়েছে সেগুলি তাঁদেরই মোটরবাইক ছিল। সেগুলি তৃণমূল কর্মীরাই পোড়ায় বলে দাবি করেন রাহুলবাবু। বিদ্যাসাগর কলেজের এক প্রাক্তন ছাত্র সেখানে অত রাতে কী করছিল সে প্রশ্নও তোলেন রাহুল সিনহা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা