২০১৯ সালের লোকসভা নির্বচনের পর রবিবারই ছিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর কলকাতায় প্রথম জনসভা। আর সেখান থেকেই পুরভোট নয়, সোজা বিধানসভা ভোটে জয়ের সুর বেঁধে দিলেন তিনি। পশ্চিমবঙ্গে দলীয় নেতা কর্মীদের হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে তুলে দিলেন নতুন স্লোগান। আর নয় অন্যায়। আর নয় অন্যায় নিয়ে ঘরে ঘরে যাওয়ার পরামর্শ দিলেন। এটাও জানিয়ে দিলেন কঠিন কাজ। তবে করতে হবে। বিধানসভা ভোটে বিজেপি এ রাজ্য থেকে দুই তৃতীয়াংশ ভোটে জয়ী হবে বলেও দাবি করলেন তিনি।
পুরভোটকে সামনে রেখেই এদিন অমিত শাহর সভার আয়োজন করেছিল রাজ্য বিজেপি। এদিন থেকেই তারা শুরু করল পুরভোটের প্রচার। কিন্তু অমিত শাহর মুখে বিধানসভা নিয়ে বক্তব্য থাকলেও সেভাবে পুরভোটের কথা শোনা যায়নি। এদিন অবশ্য অমিত শাহ বলেন বাংলাই তাঁদের লোকসভায় ৩০০ আসন পার করতে সাহায্য করেছে। বাংলা থেকে ১৮টি আসন জয় করেছেন তাঁরা।
সিএএ নিয়ে যখন দেশজুড়ে আন্দোলন চলছে তখন সিএএ সমর্থনে অমিত শাহ বলেন, সিএএ সম্বন্ধে ভুল বোঝানো হচ্ছে। এই আইনের মধ্যে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী লক্ষ লক্ষ শরণার্থীকে নাগরিকত্ব দেওয়ার রাস্তা খুলেছেন। নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার নয়, সিএএ নাগরিকত্ব দেওয়ার আইন বলেও সাফ জানান তিনি। এদিন মতুয়াদের প্রসঙ্গ টেনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে খোঁচা দেন অমিত শাহ। এও বলেন, রাম মন্দির তৈরিতেও বাধা দিচ্ছিলেন যাঁরা তাঁদের মধ্যে রয়েছেন এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।
অমিত শাহ অযোধ্যা প্রসঙ্গও এদিন টেনে আনেন। জানান ৫০০ বছর ধরে যে রাম মন্দির তৈরির চেষ্টা চলছিল তা বাস্তবায়িত হয়েছে। তিনি কথা দেন আগামী কয়েক মাসের মধ্যে অযোধ্যায় আকাশ ছোঁয়া রাম মন্দির তৈরি হবে। বাংলায় সুশাসন নেই বলেও দাবি করেন তিনি। জানান বাংলাকে আবার সোনার বাংলা হিসাবে গড়ে তুলতে বিজেপির ৫ বছর লাগবে। জিতে এলে সেটাই করবেন তাঁরা। দলীয় নেতা কর্মীদের অমিত শাহর আশ্বাস, যে বাধাই আসুক তিনি ও তাঁর রাজ্য বিজেপির নেতারা তাঁদের সঙ্গে থাকবেন।