এইমস হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন অমিত শাহ
দিল্লির এইমস হাসপাতালে এতদিন ভর্তি ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সোমবার সকালে তিনি বাড়ি ফিরলেন।
নয়াদিল্লি : গত ২ অগাস্ট স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ-র করোনা ধরা পড়ে। সংক্রমণের শিকার হওয়ার পর তিনি আর বাড়িতে থাকেননি। হাসপাতালে ভর্তি হন। তবে সেটা এইমস ছিলনা। গুরুগ্রামের মেদান্ত নামে একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা শুরু হয়। সেখানেই ভর্তি ছিলেন তিনি। তাঁর যে করোনা ধরা পড়েছে সেকথা তিনি নিজেই সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়ে দেন। অমিত শাহ এরপর ক্রমশ সুস্থ হতে থাকেন। গত ১৪ অগাস্ট তিনি জানান চিকিৎসকদের পরামর্শে তিনি আপাতত বাড়ি ফিরে আইসোলেশনে থাকবেন।
তারপর থেকে বাড়িতেই ছিলেন অমিত শাহ। কিন্তু গত ১৮ অগাস্ট তাঁর শারীরিক কিছু সমস্যা দেখা দেয়। গা হাত পায়ে ব্যথা ও প্রবল ক্লান্তি তাঁকে কাবু করে। এবার তাঁকে ভর্তি করা হয় এইমস-এ। এইমস-এ করোনা পরবর্তী অবস্থার যত্নের জন্যই মূলত তাঁকে ভর্তি রাখা হয়। সেখানেই টানা ভর্তি ছিলেন তিনি। অবশেষে ৩১ অগাস্ট সকালে তাঁকে ছেড়ে দিল হাসপাতাল।
সোমবার সকাল ৭টা নাগাদ তাঁকে ছাড়া হয়। তিনি এইমস থেকে বাড়ি ফেরেন। অমিত শাহ বলেই নয় দেশের একের পর এক মন্ত্রী, সাংসদ, মুখ্যমন্ত্রীরাও করোনার শিকার হয়েছেন বিভিন্ন সময়ে। প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়কে মাথায় আঘাতের কারণে হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে সেখানে তাঁরও করোনা ধরা পড়ে। দেশে আমজনতা থেকে হুজ হু, কেউই ছাড়া পাচ্ছেন না করোনার হাত থেকে।
মধ্যপ্রদেশ, কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী পর্যন্ত করোনার শিকার হয়েছেন। রাজ্যপালেরা আক্রান্ত হয়েছেন। ভারতে এখন প্রতিদিন নতুন সংক্রমণ পাওয়া যাচ্ছে ৭৮ হাজারের ওপর। প্রশ্ন উঠছে ভারতে করোনার সেকেন্ড ওয়েভ নিয়েও। অনেকেই মনে করছেন ভারতে করোনার সেকেন্ড ওয়েভ শুরু হয়ে গেছে। যে সেকেন্ড ওয়েভের আতঙ্কে বিশ্বের অনেক দেশই রয়েছে। যা পরিস্থিতি তাতে টিকা ছাড়া করোনা থেকে মুক্তির আর কোনও উপায় নেই বলেই মনে করছেন অনেক বিশেষজ্ঞ। করোনায় দ্রুত লাগাম দিতে তৃতীয় স্তরের ট্রায়ালের আগেই টিকা এনে ফেলেছে রাশিয়া ও চিন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা