২০০ আসন পেয়ে ক্ষমতায় আসার দাবি অমিত শাহর
রাজ্যে আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচন। সেই নির্বাচনে বিজেপি ২০০-র বেশি আসন পেয়ে ক্ষমতায় আসবে। শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে এমনই দাবি করলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
কলকাতা : সকালে নিউটাউনের হোটেল থেকে বেরিয়ে দক্ষিণেশ্বরের মন্দিরে পুজো দিয়ে দিন শুরু। তারপর সেখান থেকে পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তীর বাড়ি। তারপর সল্টলেকে কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক। সেখানে থেকে রাজারহাটে মতুয়াদের মন্দিরে পুজো দেওয়া। তারপর এক মতুয়া পরিবারে মধ্যাহ্নভোজন সেরে সেখান থেকে ফের কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক।
এর মাঝে বৃহস্পতিবারের মত শুক্রবারও সীমা সুরক্ষা আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন অমিত শাহ। তারপর সল্টলেকেই সাংবাদিক বৈঠকে অংশ নেন। সেখানেই তিনি আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যে ২০০-র বেশি আসন পেয়ে বিজেপি ক্ষমতায় আসবে বলে দাবি করেন।
২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যে ২২টি আসন বিজেপি পাবে বলে দাবি করেছিলেন অমিত শাহ। সকলকে অবাক করে বিজেপি ১৮টি আসন পেয়ে বুঝিয়ে দিয়েছিল এ রাজ্যে তাদের প্রাসঙ্গিকতা তৈরি হয়ে গেছে।
এবার বিধানসভায় ২০০-র ওপর আসন পাওয়ার অমিত শাহর দাবিকে তাই আর হাসিতে ওড়ানো সম্ভব নয় বলে মনে করছেন অমিত শাহ নিজেই।
বরং অমিত শাহ এদিন বাংলার মানুষের কাছে আবেদন করেন কংগ্রেস, সিপিএম, তৃণমূলকে এ রাজ্যের মানুষ সুযোগ দিয়েছেন রাজ্য শাসন করার। এবার তাঁদের একটা সুযোগ দিন বাংলার মানুষ। নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে আগামী ৫ বছরে সোনার বাংলা গড়ে দেবে বিজেপি বলে দাবি করেন অমিত শাহ।
গত বৃহস্পতিবার তৃণমূল সরকারকে উপড়ে ফেলার ডাক দিয়েছিলেন অমিত শাহ। এদিন তিনি ফের তৃণমূল সরকারকে নিশানা করেন।
অমিত শাহ এদিন তৃণমূলের দিকে তির ছুঁড়ে জানান, তৃণমূল সরকার প্রশাসনের সম্পূর্ণ রাজনীতিকরণ, রাজনীতির সম্পূর্ণ অপরাধীকরণ এবং দুর্নীতিকে সম্পূর্ণ প্রাতিষ্ঠানিকতার রূপ দিয়েছে। তিনি বলেন, এ রাজ্যে সাধারণ মানুষ থেকে কৃষক, কেউই কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন না।
অমিত শাহ জানান, আয়ুষ্মান ভারতের সুবিধা থেকেও বঞ্চিত হচ্ছেন এ রাজ্যে মানুষ। কৃষকদের জন্য কৃষক সম্মান যোজনায় যে টাকা দেওয়া হয় তা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন এ রাজ্যের কৃষকরা।
অমিত শাহ এদিন বলেন, আগামী বছরের মে মাস থেকে সকলের অ্যাকাউন্টে তাঁর প্রাপ্য টাকা ঢুকে যাবে। কারণ তখন এ রাজ্যে বিজেপি সরকারে থাকবে। যদিও অমিত শাহর এসব দাবিকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল নেতৃত্ব।