ভোট আসতে আসতে মমতা একা হয়ে যাবেন, বললেন অমিত শাহ
বিধানসভা ভোট আর কয়েক মাসের অপেক্ষা। তবে এই কটা মাসের মধ্যেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একা হয়ে যাবেন বলে এদিন মেদিনীপুরে দাবি করলেন অমিত শাহ।
কলকাতা : বিধানসভা ভোটের প্রচার যে শুরু হয়ে গেছে তা বলাই বাহুল্য। আর ভোটের আগে ঘর গুছিয়ে এবার ক্ষমতায় আসার মরিয়া চেষ্টায় যে বিজেপি কোনও ত্রুটি রাখবে না তাও তারা বুজিয়ে দিয়েছে। শনিবার সেই পথে আরও একধাপ এগিয়ে গেল বিজেপি।
তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিলেন শুভেন্দু অধিকারীর মত হেভিওয়েট নেতা। যা দেখে অমিত শাহ যে নিতান্তই খুশি এবং আত্মবিশ্বাসী তা এদিন তাঁর বক্তৃতাতেও প্রকাশ পেল।
শুভেন্দুকে দলে পাওয়াটা যে এ রাজ্যে বিজেপির পায়ের তলার মাটি অনেকটাই শক্ত করল তা অমিত শাহ এদিন শুধু নিজে উপলব্ধি করেননি, তা বুঝিয়েও দিয়েছেন।
অমিত শাহ এদিন বলেন, এ রাজ্যে আগামী বিধানসভায় বিজেপিই ক্ষমতায় আসতে চলেছে। ২০০-র ওপর আসন নিয়ে ক্ষমতায় আসবে বিজেপি।
যেভাবে তৃণমূল ছেড়ে নেতারা বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন তাতে বিধানসভা ভোট আসতে আসতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর দলে একা হয়ে যাবেন বলেও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি অমিত শাহ।
অমিত শাহ আরও বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভাইপোকে গুরুত্ব দিতে গিয়ে দলের নেতাদের অবজ্ঞা করছেন। তাঁরা অসম্মানিত হচ্ছেন দলে। তাই তাঁরা দলে দলে বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন।
অমিত শাহ আরও বলেন, এদিন তিনি যে কৃষক পরিবারের বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজন সারেন তাঁদের তিনি জিজ্ঞেস করেছিলেন কেন্দ্রের পাঠানো ৬ হাজার টাকা তাঁরা পেয়েছেন কিনা। তাঁরা জানিয়েছেন তাঁরা পাননি।
অমিত শাহ বলেন, তখন তিনি জিজ্ঞেস করেন এই বাড়িটা তাঁরা কোথা থেকে ঋণ নিয়ে তৈরি করেছেন? তাতে তাঁরা জানিয়েছেন এই বাড়ি তাঁরা প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় পেয়েছেন। এজন্য কোনও খরচ করতে হয়নি।
অমিত শাহ এদিন বলেন, এ রাজ্যে কোনও উন্নয়ন হয়নি। কেন্দ্রের টাকা আত্মসাৎ করা হচ্ছে। আম্ফানের ত্রাণে যে টাকা কেন্দ্র পাঠিয়েছিল তা তৃণমূলের দুষ্কৃতিদের পকেটে গেছে বলেও দাবি করেন অমিত শাহ। আয়ুষ্মান ভারতের সুবিধা থেকেও এ রাজ্য বঞ্চিত হচ্ছে বলে জানান তিনি।
এদিন সভামঞ্চে দুপুরে আসার আগে সকালে অমিত শাহ কলকাতার সিমলা স্ট্রিটে স্বামী বিবেকানন্দের বাড়িতে যান। সেখানে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তারপর চপারে উড়ে যান মেদিনীপুর।
সেখানে শহিদ ক্ষুদিরামের মূর্তিতে মাল্যদান করে শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের পাশাপাশি ক্ষুদিরাম বসুর পরিবারের লোকজনের সঙ্গে দেখা করেন অমিত শাহ। একাধিক মন্দিরেও পুজো দেন তিনি। দুপুরের খাওয়া সারেন এক কৃষক পরিবারের বাড়িতে। তারপর সেখান থেকে হাজির হন মেদিনীপুরের কলেজ মাঠে।