লক্ষ্য ২০১৯। সেই লক্ষ্যেই রাজ্যে বুথ চলো অভিযানের সূচনা করছেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। উদ্দেশ্য মানুষের ঘরে ঘরে গিয়ে তাঁদের বিজেপির উন্নয়ন কর্মসূচি সম্বন্ধে অবহিত করা। তাঁদের বোঝানো কেন বিজেপিকে জেতানো প্রয়োজন। এদিন কলকাতায় সেই ঘরে ঘরে ঢোকার প্রতীকী সূচনা করলেন অমিত শাহ। তাও আবার খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কেন্দ্রে। চেতলার লকগেট বস্তির ৩টি বাড়িতে এদিন পা রাখেন বিজেপি সভাপতি। কথা বলেন বাড়ির লোকজনের সঙ্গে। সমস্যার কথা জানতে চান। একজনের বাড়িতে বসে লস্যিও পান করেন।
এদিকে অমিত শাহ আসছেন। তাই আগে থেকেই বাড়ি চিহ্নিত করে বলা ছিল। সেইমত এদিন সকাল থেকেই অপরিসর বস্তির ছোট্ট ঘরগুলোয় ছিল এক অন্য উন্মাদনা। সাজ সাজ রব। ঘরের দোরে আলপনা, বরণডালা, মিষ্টি, লস্যি সবই মজুত ছিল। ঘরকে যতটা সম্ভব সাজানো হয়েছিল। দুপুরে অমিত শাহ হাজির হলে এখানে ভিড় উপচে পড়ে। ঢাক বাজিয়ে তাঁকে স্বাগত জানান স্থানীয় বিজেপি সমর্থকেরা। একে অপরিসর জায়গা তারমধ্যে স্থানীয় মানুষের কৌতূহল। তার ওপর সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের ভিড়। সব মিলিয়ে তিল ধারণের জায়গা ছিলনা কোথাও। তারমধ্যেই ফুল ছুঁড়ে বিজেপি সভাপতি স্বাগত জানান বিজেপি সমর্থকেরা। তবে বস্তির বাড়ি বাড়ি ঢুকতে রীতিমত বেগ পেতে হয় তাঁকে।
ভিড়ের ধাক্কায় পা ফেলারও জায়গা ছিলনা। সুরক্ষা কর্মীদের চেষ্টায় ৩টি বাড়িতে ঢুকতে পারেন তিনি। অমিত শাহের সঙ্গে ছিলেন বাবুল সুপ্রিয়, লকেট চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ বিজেপি নেতা। অন্যান্য বাড়িতে কোথাও হাজির হন পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বে থাকা বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়, কোথাও হাজির হন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। স্থানীয়দের কাছে সব কথা শোনার পর খোদ মুখ্যমন্ত্রীর কেন্দ্রেই মহিলাদের শৌচালয় না থাকা নিয়ে কটাক্ষ করেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়।
এদিকে এদিন বাড়ি বাড়ি যাওয়ার আগে দলের বুথ নেতৃত্বের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন অমিত শাহ। সেখান থেকে বেরিয়ে স্থানীয় গণেশ মন্দিরের সামনে একটি বক্তৃতাও দেন। সেখানে রাজ্যের সব জায়গার সঙ্গে ভবানীপুরেও পদ্ম ফোটানোর ডাক দেন অমিত শাহ। কটাক্ষের সুরেই বলেন, বিজেপি রাজ্যে ক্ষমতায় এলে দুর্গাপুজোর বিসর্জনের জন্য হাইকোর্টে যাওয়ার অন্তত দরকার পড়বে না!