দর্শকরা হাঙ্গামা শুরু করায় তাঁদের শান্ত করতে বাধ্য হয়ে অমিতাভকে একাজ করতে হয়
অমিতাভ বচ্চনের এক কালজয়ী সিনেমায় দর্শকরা হলে হাঙ্গামা শুরু করেছিলেন। দর্শকদের শান্ত করতে বাধ্য হয়ে অমিতাভকে একটা কাজ করতে হয়।
অগ্নিপথ সিনেমার যখন শ্যুটিং চলছিল তখন একদিন অমিতাভ বচ্চন মেকআপ রুমে বসেছিলেন। সেই সময় তাঁর একটা কথা মাথায় আসে। তিনি সিনেমার পরিচালক মুকুল আনন্দকে ডেকে পাঠান।
পরিচালক এলে অমিতাভ প্রস্তাব দেন তাঁর চরিত্র বিজয় দীনানাথ চৌহান একটা অত্যন্ত গভীর গলা দাবি করছে। তাই গলাটা সিনেমায় তেমনই হওয়া উচিত।
অমিতাভ জানান, সেই সময় সুরকার কল্যাণজি আনন্দজির বাড়িতে এক ব্যক্তির আনাগোনা ছিল। পরে জানা গিয়েছিল তিনি কিছুটা অন্ধকার জগতের মানুষ।
সেই ব্যক্তির গলা ছিল খুব অদ্ভুত। অত্যন্ত গভীর এক কণ্ঠস্বর। অমিতাভ তাঁর সেই কণ্ঠের কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেন। সেইমত বিজয় দীনানাথ চৌহানের কণ্ঠস্বর সিনেমায় ডাব করা হয়।
একটি টিভি অনুষ্ঠানে অমিতাভ বচ্চন তাঁর একটি সিনেমার সেই গোপন কথা ফাঁস করলেন। অমিতাভ বচ্চন অভিনীত সিনেমা অগ্নিপথ বক্স অফিসে তোলপাড় ফেলে দেয়।
সেই সিনেমায় অমিতাভ বিজয় দীনানাথ চৌহান নামে এক মানুষের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। যে চরিত্রটি দর্শকদের আজও নাড়া দেয়। সেখানে অমিতাভ বচ্চনের অভিনয় ছাড়াও যেটা চিরকাল দর্শকদের মনে থাকবে সেটা হল তাঁর গলা। তাঁর বাচনভঙ্গি।
কিন্তু অগ্নিপথ সিনেমায় ২ বার অমিতাভ বচ্চনের গলা ডাব করা হয়েছিল। সেটা কেন? উত্তরে অমিতাভ বচ্চন সেই গোপন কথাই বলতে গিয়ে জানান, সিনেমা তো রিলিজ হয়। কিন্তু দর্শকরা অমিতাভ বচ্চনের সেই গলা শুনে রেগে আগুন।
রীতিমত হলে হাঙ্গামা শুরু হয়। চেয়ারের গদি পর্যন্ত রাগে ছিঁড়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটে। দর্শকদের দাবি, যে গলা বিজয় দীনানাথ চৌহানের কণ্ঠে শোনা যাচ্ছে তা অমিতাভের গলা নয়।
দর্শকদের শান্ত করতে ফের সিনেমায় বিজয় দীনানাথ চৌহানের গলা নতুন করে ডাব করা হয়। সেখানে অমিতাভ গলাটা একটু অন্যরকম করলেও এটা বোঝা যাচ্ছিল যে সেটা অমিতাভেরই গলা। সেটা শোনার পর দর্শকরা উচ্ছ্বসিত। ফলে অগ্নিপথ সিনেমায় অমিতাভ বচ্চন ২ বার ডাব করতে বাধ্য হন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা