শ্যুটিং থামিয়ে ছুটতে শুরু করলেন অমিতাভ বচ্চন, কি হয়েছিল সেদিন
দিওয়ার সিনেমার শ্যুটিংয়ে একদিন অমিতাভ বচ্চনের একটি দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করা হবে। আচমকা সব থামিয়ে অমিতাভ বচ্চন ছুটতে শুরু করলেন। কি হয়েছিল সেদিন।
অমিতাভ বচ্চনের সফল সিনেমার তালিকা নেহাত ছোট নয়। সেই তালিকায় আবার মনে ছাপ ফেলে যাওয়া কয়েকটি সিনেমা আলাদা করে বলা যায়। যে তালিকায় একটি নাম অবশ্যই দিওয়ার।
১৯৭৫ সালের এই সিনেমায় অমিতাভ বচ্চনের অভিনয় দর্শকদের মনে আরও দৃঢ় আসন তৈরি করে দেয় তাঁর জন্য। দিওয়ার সিনেমার একটি চিরকালীন হয়ে যাওয়া দৃশ্য হল একটি গোডাউনে অমিতাভ বচ্চন প্রবেশ করবেন।
তারপর গোডাউনের দরজা বন্ধ করে দেবেন। এবার সেই গোডাউনে থাকা অসাধু লোকজনের সঙ্গে তাঁর মারপিট হবে। পরে সকলকে ধরাশায়ী করে অমিতাভ বচ্চন গোডাউনের তালা খুলে বাইরে বেরিয়ে আসবেন।
তাঁকে নিয়ে উল্লসিত হয়ে পড়বেন তাঁর সঙ্গী সাথীরা। অমিতাভ টলতে টলতে এসে একটি কল খুলে তার তলায় মাথাটা দিয়ে নিজের ক্লান্তি দূর করার চেষ্টা করবেন।
একটি টেলিভিশন শোতে অমিতাভ বচ্চন জানালেন ওই দৃশ্যের কথা। তিনি জানান, এই দৃশ্যে গোডাউনে যে হাতাহাতির দৃশ্য তা ক্যামেরাবন্দি হয়েছিল এক জায়গায়। তার কয়েকদিন পর মুম্বইয়ের একটি গোডাউনে শ্যুট হয় গোডাউন থেকে বেরিয়ে আসার দৃশ্য।
সেই দৃশ্যের শ্যুটিং শুরুর আগে অমিতাভ পরিচালকের কাছে একটু সময় চান। তারপর ওই জায়গার চারপাশে ছুটতে শুরু করেন। এভাবে একটানা ১০ পাক দেন তিনি। অমিতাভ জানান, ভিলেনদের সঙ্গে ওই লড়াইয়ের পর তিনি যখন গোডাউন থেকে বেরিয়ে আসবেন তখন তাঁর চেহারায় ক্লান্তির ছাপ থাকাটা দরকার ছিল।
সেই ক্লান্তির ছাপটাকে আরও বাস্তবধর্মী করে তোলার জন্য তিনি ১০ পাক দৌড়ে নিজেকে ক্লান্ত করে তোলেন। যাতে সেই ক্লান্তির ছাপ তাঁর শরীরে মুখে প্রকাশ পায়।
একজন অভিনেতার চরিত্রের প্রতি দায়বদ্ধতা এবং সেই চরিত্রের সঙ্গে একাকার হয়ে যাওয়ার চেষ্টার উদাহরণ তুলে ধরতেই অমিতাভ বচ্চন নিজের এই কাহিনি সকলকে বলেন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা