শ্যুটিংয়ের সময় ২টি শটের মাঝে কীভাবে সময় কাটাতেন, সেকথা জানালেন অমিতাভ বচ্চন
সিনেমার শ্যুটিংয়ের সময় কত কিছুই তো ঘটে যার কথা মানুষ জানতেও পারেননা। শ্যুটিংয়ে ২টি শটের মাঝে যেমন অমিতাভ বচ্চন কি করতেন তা জানালেন এক কিশোরকে।
মানুষ সিনেমা দেখেন। কিন্তু একটা সিনেমা তৈরি করতে অনেক পরিশ্রম, অনেক সময় ব্যয় হয়। শ্যুটিং হয় নানা লোকেশনে। সেখানে সেট তৈরি করতে হয়। শ্যুটিং চলাকালীন পরিচালকের পছন্দের আবহ তৈরি করতে তাই অনেক সময়ই সময় লাগে।
২টি শটের মাঝে সেই সময়টা অভিনেতাদের কাছে অবসর। ওই সময়টা এক এক অভিনেতা এক এক রকমভাবে কাটাতে পছন্দ করেন। অমিতাভ বচ্চন কৌন বনেগা ক্রোড়পতি-তে আসা এক কিশোরকে জানালেন তিনি ওই ২টি শটের মাঝে কি করতেন।
অমিতাভ বচ্চনের উত্তরটা অবশ্য ওই কিশোরের আনা একটি ছবির সাপেক্ষে ছিল। সেখানে অমিতাভ বচ্চনকে একটি ছোট্ট ব্যাট নিয়ে ক্রিকেট খেলতে দেখা যায়।
অমিতাভ ওই কিশোরকে জানান তিনি যখন সিনেমার শ্যুটিং করতেন তখন ২টি শটের মাঝে যাঁরা ফাঁকা থাকতেন তাঁদের সঙ্গে নিয়ে তিনি ক্রিকেট খেলতে নেমে পড়তেন। তবে যে ব্যাট জোগাড় সেবার হয়েছিল তা এতটাই ছোট ছিল যে তা ক্রিকেট ব্যাট কম, ডাংগুলির ডাণ্ডা বেশি লাগছিল।
সেই ছবিটাই ওই কিশোর সঙ্গে করে এনেছিল দেখানোর জন্য। ছবিটা দেখার পর সেইসব দিনে হারিয়ে যান ৮০ বছরের কিংবদন্তি অভিনেতা। সে সময় ২টি শটের মাঝে প্রায়ই তিনি ক্রিকেট খেলতেন বলেও জানান অমিতাভ বচ্চন।
ওই কিশোর অমিতাভকে জানায় সে বাবার কাছ থেকে পকেট মানি পায়না। কেন পকেট মানি পায়না তা কিশোরের বাবাকে জিজ্ঞেস করেন অমিতাভ।
উত্তরে তার বাবা অমিতাভের মহব্বতে সিনেমার কথা টেনে জানান ওই সিনেমা থেকেই তিনি শিখেছেন গুরুকুলে ছাত্রদের পকেটে পয়সা দেওয়ার রীতি ছিলনা। অমিতাভ তাঁকে শুধরে দিয়ে বলেন ওটা তো সিনেমা। পকেট মানি তো লাগে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা