সেদিন না গুনেই টাকার গোছাটা মেয়েটির হাতে তুলে দিয়েছিলেন অমিতাভ বচ্চন
সেদিন তিনি গুনে দেখেননি কত টাকা আছে। কেবল টাকার গোছাটা তিনি তুলে দিয়েছিলেন মেয়েটির হাতে। নিজেই সেই কাহিনি ভাগ করে নিলেন বিগ বি।
সেদিন খুব বৃষ্টি হচ্ছিল। ঠিক যে সময়ের কথা বলছেন সেই সময় বৃষ্টিটা সবে তখন একটু থেমেছে। তাঁর গাড়িটি দাঁড়িয়েছিল সিগনালে। সঙ্গে পুলিশের গাড়ি। তাঁর গাড়ির জানালার কাচ তোলা। বন্ধ জানালার কাচের মধ্যে দিয়ে মেঘলা দিনে উল্টো দিকে নজর যায় তাঁর।
একটি ছোট্ট মেয়ে গায়ে একটি নোংরা প্লাস্টিকের প্যাকেট জড়িয়ে অনেকটাই ভিজে অবস্থায় ঘুরছে। হাতে গোলাপ ফুলের একটা তোড়া। সেটা নিয়ে সে বিভিন্ন গাড়ির জানালায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। যদি কেউ ওই গোলাপ কেনেন।
মেয়েটি অমিতাভ বচ্চনের গাড়ির দিকে এগোতে যেতেই পুলিশ রেরে করে ওঠে। ওই গাড়ি থেকে দূরে থাকার জন্য ওই ছোট্ট মেয়েটিকে নির্দেশ দেয়। কিছুটা ভ্যাবাচেকা খেয়ে যায় মেয়েটি।
পরক্ষণেই গাড়িটির দিকে চেয়ে সে বেশ উৎফুল্ল হয়ে ওঠে। পুলিশদের বোঝায় গাড়িতে যিনি রয়েছেন তিনিই তাকে ডাকছেন। অমিতাভ বচ্চন সেদিন গাড়ির কাচটা নামিয়ে দেন। মেয়েটি তাঁর জানালার কাছে আসতে ওই গোলাপের তোড়াটা নিয়ে হাতে ওঠা টাকার গোছাটা মেয়েটিকে দিয়ে দেন তিনি।
সেদিন তিনি গুনে দেখেননি কত টাকা দিচ্ছেন। মেয়েটিকে জিজ্ঞেস করেননি কত টাকায় সে বিক্রি করছে ওই গোলাপ। শুধু মনে হয়েছিল হয়তো নিজে কিছু খাওয়ার জন্য, পরিবারের আরও সদস্যদের পেট ভরানোর জন্য মেয়েটি ওই ফ্যাকাসে মুখে গোলাপের তোড়াটি বিক্রির চেষ্টায় বৃষ্টিতে ভিজে এক গাড়ি থেকে অন্য গাড়ির জানালায় টোকা দিচ্ছে।
অমিতাভ তাঁর ব্লগে এই কাহিনি ভাগ করে নিয়েছেন সকলের সঙ্গে। লিখেছেন সেদিন টাকাগুলো মেয়েটির হাতে দিয়ে তিনি শুধু একটাই কথা বলতে পেরেছিলেন। মেয়েটির হাতে টাকা দিয়ে অমিতাভ বচ্চন বলেছিল, যাও। তার বেশি কিছু বলার মত তাঁর কিছুই ছিলনা। ব্লগে সে কথা স্বীকার করে নিয়েছেন ভারতের এই জীবন্ত কিংবদন্তি। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা