দেশের এই দ্বীপের ধারে কাছে যাওয়াও মানা, ছুটে আসে বিষাক্ত তির
দেশের এই দ্বীপটি আর পাঁচটা দ্বীপের মতই সুন্দর। কিন্তু এ দ্বীপের ধারে কাছে ঘেঁষাও মানা। নামা দূরে থাক, কাছে গেলেও বিপদ অবশ্যম্ভাবী।
দ্বীপে ঘুরতে যেতে অনেকেই পছন্দ করেন। চারধারে সমুদ্র দিয়ে ঘেরা দ্বীপে কিছুটা সময় কাটানো। সেখানকার প্রকৃতির রূপ উপভোগ করা। সেই দ্বীপকে চেনা। তার বৈশিষ্ট্য খুঁজে দেখা। এ সবই পর্যটকদের কাছে একটা আকর্ষণ।
বঙ্গোপসাগর ও আন্দামান সাগরের ওপর ভারতের আন্দামান ও নিকোবরে দ্বীপপুঞ্জ এমন এক চোখ জুড়িয়ে দেওয়া জায়গা যেখানে বহু মানুষ সারাবছর ভিড় জমান। আন্দামানে বেড়াতে যাওয়া মানেই কিন্তু নানা দ্বীপে ঘোরার সুযোগ।
কিন্তু সেখানেই এমন এক দ্বীপ রয়েছে যেখানে কেউ কখনও পা রাখেননি। কোনও ভয়ংকর জন্তু জানোয়ারের ভয়ে নয়, সেখানে থাকা আদিবাসীরাই এর আসল কারণ।
মনে করা হয় ৫০ হাজার বছর ধরে তারা ওই দ্বীপে প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে কাটাচ্ছে। কিন্তু তারা কখনও মূল ভূখণ্ডের কারও সঙ্গে মিশতে চায়নি।
এমনকি তাদের নর্থ সেন্টিনেল দ্বীপের ধারে কাছেও গেলে তারা বিষাক্ত তির ছুঁড়তে শুরু করে। তা পেরিয়ে জোর করে কেউ দ্বীপে নামার চেষ্টা করতে তারা সময় নষ্ট না করে তার প্রাণ নেয়।
নর্থ সেন্টিনেল দ্বীপ পৃথিবীর এমন এক দ্বীপ যেখানে বাইরে থেকে কারও পা রাখা মানা। ভারত সরকারই সেই দ্বীপের বাসিন্দা সেন্টিনেলিজদের ভাবাবেগকে সম্মান জানিয়ে ওই দ্বীপে নামা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে।
শুধু দ্বীপে নামাই নয়, তার ৫ নটিক্যাল মাইলের মধ্যে ঢোকাও মানা। তার মানে কোনও জলযানে চেপে বহু দূর থেকে ওই দ্বীপ দেখা যেতে পারে মাত্র। ৬০ বর্গকিলোমিটার এলাকার এই দ্বীপটি তাই পৃথিবীর মানুষের কাছে আজও অজানা।