দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন। ভাল করে হাঁটতেও পারতেন না। তবু মোহনবাগান ক্লাবের সঙ্গে জড়িয়ে ছিলেন। গত বছর তিনি মোহনবাগান ক্লাবের সচিব পদ থেকে সরে দাঁড়ান। যদিও ক্লাবের প্রতি টান কমেনি। নিয়মিত খবর নিতেন ক্লাবের। শুক্রবার রাতভোরে তাঁর মৃত্যু হয়। ঘড়িতে তখন ৩টে ১০ মিনিট। একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি অঞ্জন মিত্র মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর।
শুক্রবার সকালে তাঁর দেহ হাসপাতাল থেকে তাঁর ট্যাংরার বাসভবনে নিয়ে যাওয়া হয়। শেষকৃত্যের আগে দেহ মোহনবাগান ক্লাবেও আনা হয়। এদিকে অঞ্জন মিত্রের প্রয়াণে মোহনবাগানে শোকের ছায়া। অনুশীলন হয়নি। খবর পেয়ে ক্লাবের বাইরে অনেক ক্লাব অনুরাগী ভিড়ও জমান। অঞ্জন মিত্রের প্রয়াণে মোহনবাগান ক্লাব এক একনিষ্ঠ অনুরাগীকে হারাল।
১৯৯৫ সালে মোহনবাগান ক্লাবের সচিব হন অঞ্জন মিত্র। তারপর বহু উত্থান পতনের সাক্ষী তিনি। ক্লাবকে আধুনিক করে গড়ে তোলেন তিনি। বিদেশি খেলোয়াড় আনাতেও তাঁর যথেষ্ট অবদান ছিল। ১৯৯৫ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত টানা সচিব পদে ছিলেন। এই কার্যকালে বিভিন্ন বিতর্কেও জড়িয়েছেন। তবে ক্লাব তাঁর ওপর ভরসা রেখেছিল। তিনিও ক্লাবের প্রতি একনিষ্ঠ ছিলেন।