সমাজে বর্ণবৈষম্যের শিকার সেকাল বা একালের কৃষ্ণকলিরা। এমনটাই চিরকালের অভিযোগ। তবে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ কিন্তু মজেছিলেন বর্ষাবাদল মেঘের মতো কালো এক ‘কৃষ্ণকলি’র প্রেমে। যুগ বদলের সাথে সাথে অবশ্য বদলেছে সঙ্কীর্ণ মানসিকতাও। কালো-সাদা চামড়ার বিভেদকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে গোটা জগত তাই এখন মজেছে সুদানের এক কৃষ্ণসুন্দরীর রূপে। তাঁর গহীন কালো রূপের এমন জাদু যে বিভিন্ন নামীদামী মডেলিং কোম্পানি ১৯ বছরের তরুণীর সঙ্গে কাজ করতে রীতিমত উঠেপড়ে লেগেছে।
আমেরিকার হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অনুষ্ঠানে বেশ কিছু মাস আগে যোগ দিতে আসেন আনোক ইয়াই। সেখানে উপস্থিত এক চিত্রগ্রাহকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে আনোকের পোশাক ও অনন্য সাধারণ রূপ। সঙ্গে সঙ্গে অনুমতি না নিয়েই আনোকের বেশ কয়েকটি ছবি তুলে নেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ছবির কয়েকটি প্রকাশ হতেই হইচই পড়ে যায় আনোককে নিয়ে।
যে মুখ পৃথিবীর তাবড় তাবড় মডেলিং কোম্পানির মাথা ঘুরিয়ে দিয়েছে, সেই ছবি নিয়ে নাকি মোটেই সন্তুষ্ট ছিলেন না আনোক। তবে মডেলিং করার সুপ্ত ইচ্ছা এমন অযাচিত সুযোগ হয়ে যে তাঁর দুয়ারে কড়া নাড়বে তা ভাবতেই পারেননি তিনি। তাই আপাতত মডেলিংয়ের পাশাপাশি পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়াতেই মনোযোগ দিয়েছেন বায়োকেমিস্ট্রির ছাত্রী কৃষ্ণাঙ্গী আনোক ইয়াই।
(ছবি – সৌজন্যে – ইন্সটাগ্রাম)