বন্যেরা বনে সুন্দর। আর অ্যান্টার্কটিকার হিমপ্রদেশে সুন্দর পেঙ্গুইনরা। বিশ্ব উষ্ণায়নের জেরে ধীরে ধীরে আস্তানা হারাচ্ছে ঠান্ডার দেশের এই অধিবাসীরা। বদলাচ্ছে তাদের ঘর। গরম বাড়ছে পৃথিবীর মেরু অঞ্চলে। গলছে বিরাট বিরাট বরফের চাঁই। নীল সমুদ্রের তলদেশে হুহু করে উষ্ণতা বাড়ায় ঠিকানা বদলাচ্ছে পেঙ্গুইনদের প্রিয় খাদ্য মাছ, স্কুইড জাতীয় প্রাণিরা। এই অবস্থায় কি করে বিরূপ প্রকৃতির সঙ্গে লড়ে টিকে থাকবে পেঙ্গুইনরা? আদৌ কি আর আগের মত নিশ্চিন্তে আছে তারা? কতজনই বা আর অস্তিত্বের জন্য সংগ্রাম করে টিকে আছে অ্যান্টার্কটিকায়? এই সব প্রশ্নের উত্তর পেতে অ্যান্টার্কটিকান পেনিনসুলায় ড্রোন পাঠান গবেষকরা। সেই ড্রোন উড়তে উড়তে পাড়ি দেয় নির্জন দ্বীপ ডেঙ্গারে। দ্বীপের বেশ কিছু স্টিল ছবি আর ভিডিও রেকর্ড করে নেয় উড়ন্ত নজরদার। সেইসব ছবি আর ভিডিও হাতে আসতেই চোখ কপালে উঠে যায় বিজ্ঞানীদের।
অ্যান্টার্কটিকার দুর্গম দ্বীপটিতে জাঁকিয়ে রাজ্যপাট বসিয়েছে লক্ষ লক্ষ পেঙ্গুইন। সেখানে খোশমেজাজে দিন কাটাচ্ছে প্রায় ১৫ লক্ষ পেঙ্গুইনের বিশাল সংসার। তুষার শীতল সাগরের জলে ডুব দিয়ে মনের মত করে শিকার ধরছে তারা। আর দিব্যি লোকচক্ষুর আড়ালে পেঙ্গুইন দম্পতিরা জন্ম দিয়ে চলেছে তাদের বংশধরদের। বরফে মোড়া পেনিনসুলায় এমনিতে ৩ প্রজাতির পেঙ্গুইনের বাস। যাদের মধ্যে ‘অ্যাডেলাইস’ প্রজাতির পেঙ্গুইন নিজেদের মত চলতে পছন্দ করে। বিজ্ঞানীদের অনুমান, একসময় প্রতিকূল এলাকা ছেড়ে নতুন বাসার খোঁজে পাড়ি জমায় এই প্রজাতির পেঙ্গুইনরা। কোনওপ্রকারে তারা এসে পৌছয় বংশবিস্তারের জন্য অনুকূল বিচ্ছিন্ন দ্বীপটিতে। এখন যে উপায়ে হোক, ডেঙ্গার দ্বীপের আবহাওয়াকে অক্ষুণ্ণ রাখতে হবে। প্রকৃতির সুন্দর জীবদের জীবনযাত্রাকে সংরক্ষণ করতে হবে। এটাই এখন মস্ত চ্যালেঞ্জ প্রাণিবিজ্ঞানীদের কাছে।