বরফ ঠান্ডা জলে মৃত ১০ হাজার পেঙ্গুইন, ঠান্ডা প্রাণ কাড়ল ঠান্ডার রাজ্যের প্রাণির
পেঙ্গুইন প্রাণিটি বেঁচেই থাকে বরফে। বরফের মোটা চাদর, বরফ ঠান্ডা জল, এখানেই এদের বাস। সেখানে ১০ হাজার পেঙ্গুইনের নিমেষে মৃত্যু হল ঠান্ডায় জমে গিয়ে।
পেঙ্গুইন ঠান্ডায় মারা গেছে শুনলে একটু অবাক মনে হতেই পারে। কিন্তু উপগ্রহ মারফত পাওয়া ছবি বলছে সেভাবেই মৃত্যু হয়েছে ১০ হাজার পেঙ্গুইনের। আর সেজন্য কোথাও গিয়ে মানুষই দায়ী। অ্যান্টার্কটিকায় পেঙ্গুইনদের অনেক কলোনি রয়েছে। এমনই একটি কলোনিতে ১০ হাজারের মত পেঙ্গুইন শাবকের জন্ম হয়েছিল। তারা একটি বরফের চাদরের ওপর একসঙ্গে ছিল। কিন্তু ঠিক সেই সময় ঘটে বিপত্তি।
যে বরফের চাদরের ওপর পেঙ্গুইন শাবকরা ছিল, সেই বরফের চাদরটি পাতলা হয়ে গিয়েছিল। আর তার তলায় ছিল বরফ ঠান্ডা সমুদ্র। আচমকাই সেই বরফের চাদর ভেঙে যায়। বরফের ওপর থাকা ১০ হাজারের মত পেঙ্গুইন শাবক পড়ে যায় জলে। সেই জল তখন কনকন করছে ঠান্ডায়।
পেঙ্গুইন জলে সাঁতার কাটতে পারে তাদের বিশেষ ডানায় ভরসা করে। কিন্তু সেই পালক ঢাকা ডানা জন্মেই তৈরি হয়না। সেটি পেঙ্গুইনের জন্মের পর আস্তে আস্তে তাদের দেহে জন্ম নেয়। তারপরই একটি পূর্ণাঙ্গ পেঙ্গুইন তৈরি হয়।
বরফ ঠান্ডা জলে পড়ে যাওয়া ওই ১০ হাজার পেঙ্গুইন শাবকের সেই বিশেষ পাখনা তৈরি হয়নি তখনও। তাই তাদের পক্ষে মেরু দেশের বরফ জলে সাঁতার কাটা সম্ভব হয়নি। বরফ ঠান্ডা জলে কার্যত সাঁতার কাটতেও না পেরে তারা জমে মারা যায় বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা।
এভাবে মেরু দেশের বরফ পাতলা হওয়ার জন্য উষ্ণায়নকেই কাঠগড়ায় চাপানো হচ্ছে। মানুষ কার্বন নির্গমন বন্ধ না করলে এর থেকে রেহাই নেই। মেরু অঞ্চলের বরফ গলে যাচ্ছে এই উষ্ণায়নের কারণেই। ফলে সংকটে পড়ছে পেঙ্গুইনদের মত বরফ রাজ্যের প্রাণিরা।
২০২২ সালের শেষের দিকে এই ১০ হাজার পেঙ্গুইন মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল বলে জানতে পারা যাচ্ছে। বিষয়টি বিশ্বের অনেক সংবাদমাধ্যমেও প্রকাশিত হয়েছে।