SciTech

অ্যান্টার্কটিকা নিয়ে ভারতীয় বিজ্ঞানীর অশনিসংকেতে কাঁপছে বিশ্ব

অ্যান্টার্কটিকা নিয়ে এক ভারতীয় বিজ্ঞানী যা জানালেন তা কার্যত বিশ্ববাসীর বুকে ভয় ঢুকিয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। রীতিমত অশনিসংকেত দিলেন তিনি।

অ্যান্টার্কটিকা বা কুমেরু বরফের এক বিশাল রাজ্য। পৃথিবীর শীতলতম এবং শুষ্কতম এলাকা এই বরফের দেশ। সেখানে ২০২২ সালের প্রেক্ষিতে তৈরি একটি রিপোর্টে যা সামনে এল তা বিশ্ব মানবসভ্যতার জন্য চিন্তার। ভারতীয় বংশোদ্ভূত বিজ্ঞানী কলোরাডো বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে করা গবেষণায় জানাচ্ছেন, অ্যান্টার্কটিকায় ২০২২ সালে কমপক্ষে ৬ দিন যে তাপপ্রবাহ নজর কেড়েছে তা বিশ্বের জন্য ভাল খবর নয়।

সে সময় বরফ রাজ্যে গড় তাপমাত্রা পৌঁছেছিল প্রায় ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছে। যা সেখানে এর আগে দেখা যায়নি। আর তাকে অ্যান্টার্কটিকায় তাপপ্রবাহের শামিল বলেই মনে করা হচ্ছে।


আরও পরিস্কার করে বোঝাতে গিয়ে একটি উদাহরণ দেওয়া হয়েছে। বলা হচ্ছে ২০২২ সালের ১৬ মার্চ পূর্ব অ্যান্টার্কটিকায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল মাইনাস ৯.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মনে হতে পারে মাইনাসেরও কিছুটা নিচেই তো ছিল। সেটাই তো বেশ ঠান্ডা।

কিন্তু তার আগের নেওয়া খতিয়ান বলছে ওই সময় পূর্ব অ্যান্টার্কটিকায় যে তাপমাত্রা স্বাভাবিক তা আরও ৪৪ ডিগ্রি কম। অর্থাৎ প্রায় মাইনাস ৫৩ ডিগ্রি স্বাভাবিক হলেও সেদিন সেখানে পারদ ছিল মাইনাস ৯ ডিগ্রি।


এ থেকে অনুমেয় যে কী পরিমাণ গরম বরফ রাজ্যে বেড়েছে। যা কিন্তু কুমেরুর জমাট বরফকে দ্রুত গলিয়ে দেবে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে।

আর তা যদি হয় তাহলে সেই বরফ গলা জল কিন্তু মানবসভ্যতার জন্য অভিশাপ হয়ে সমুদ্রের সঙ্গে মিশে জলস্ফীতি ঘটাবে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button