২৫ বছরে অ্যান্টার্কটিকার ক্ষতি দেখে বুক কাঁপল বিজ্ঞানীদেরও
কৃত্রিম উপগ্রহগুলি যা তথ্য দেয় তা মানবসভ্যতার জন্য প্রভূত উপকারি। সেই স্যাটেলাইট এবার এমন তথ্য দিল যা বিজ্ঞানীদেরও চিন্তার কারণ হয়েছে।
১৯৯৭ সাল থেকে ২০২১ সাল। এই ২৫ বছর ধরে পৃথিবীর আশপাশে চক্কর দেওয়া নানা কৃত্রিম উপগ্রহ তার রাডার মারফত যে সব ছবি সংগ্রহ করেছে তার থেকেই ১ লক্ষ ছবি বেছে নিয়েছিলেন বিজ্ঞানীরা। সেই ১ লক্ষাধিক ছবি তাঁরা পর্যালোচনা করেন। এই সব ছবিই ছিল অ্যান্টার্কটিকার।
২৫ বছরে বিভিন্ন সময়ে তোলা সেই ছবিগুলি পর্যালোচনা করে বিজ্ঞানীরা দেখেছেন এই ২৫ বছরে অ্যান্টার্কটিকার বরফ রাজ্যে যে ক্ষতি হয়েছে তা অপূরণীয়।
ব্রিটেনের লিডস বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা জানাচ্ছেন, অ্যান্টার্কটিকায় ১৬২টি আইস শেলফ রয়েছে। এই আইস শেলফ হল পুরু বরফের চাঁই যা জলে ভাসমান অবস্থায় জমির সঙ্গে আটকে থাকে।
এই ১৬২টি আইস শেলফের মধ্যে ৭১টি শেলফ গলে গিয়ে ভ্যানিস হয়ে গেছে। পুরোটাই গলে সমুদ্রের জলের সঙ্গে মিশে গেছে। মাত্র ২৫ বছরে অ্যান্টার্কটিকার ৪০ শতাংশ আইস শেলফের এভাবে গলে যাওয়া কিন্তু বিজ্ঞানীদের চিন্তায় ফেলে দিয়েছে।
যে গতিতে আইস শেলফগুলি গলছে তাতে আগামী দিনে এই বিপুল পরিমাণ বরফ জল হয়ে মানবসভ্যতাকেই সমস্যার মুখে ফেলে দেবে। বিজ্ঞানীরা দেখেছেন বিশ্ব উষ্ণায়নের কারণেই এটা হয়েছে। আর এমন ভাবে গলে গেছে যে তা আর ফের বরফে রূপান্তরিত হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। অর্থাৎ স্থায়ী ক্ষতি যা হওয়ার হয়ে গেছে।
এই সব খারাপের মধ্যেও বিজ্ঞানীরা একটিমাত্র ভাল দিক খুঁজে পেয়েছেন। তাঁরা পরীক্ষা করে দেখেছেন এই পুরো ক্ষতিটাই অ্যান্টার্কটিকার পশ্চিমাংশে হয়েছে। পূর্বাংশের আইস শেলফ ঠিক আছে। শুধু ঠিক আছেই নয়, বরং কোথাও কোথাও আরও পুরু হয়েছে বরফ। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা