এমন মেরু বরফ আগে দেখেনি পৃথিবী, গ্রীষ্মে যা হয়নি তা শীতে হল
বিজ্ঞানীদের চিন্তা বাড়াচ্ছে মেরু সমুদ্রের বরফ। গরমকালে যা দেখা যায়নি সেটাই শীতকালে এসে দেখাল মেরু সমুদ্রের বরফ। এমন মেরু বরফ আগে দেখেনি বিশ্ব।
পৃথিবীর আবহাওয়ার ভাবগতিক যে বদলাচ্ছে তা নিয়ে নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। চিন্তা একটাই যে তা ভাল নয়, বরং খারাপের দিকেই ছুটছে। বিশ্ব উষ্ণায়ন ক্রমশ মানবসভ্যতার ভবিষ্যতকেই প্রশ্নের মুখে ফেলে দিচ্ছে। এবার মেরু অঞ্চলে যে পরিবর্তন দেখা গেল তা আজ পর্যন্ত পৃথিবী দেখেনি।
অ্যান্টার্কটিকায় যে সমুদ্র রয়েছে তাতে জমাট বরফ রয়েছে। সেখানে গ্রীষ্মে পরিস্থিতি ছিল স্বাভাবিক। যেমন থাকে তেমন। কিন্তু শীতে তাতে বদল হয়েছে। শীতের সময় তাতে বদল দেখা গেছে।
গত ৭ সেপ্টেম্বর দেখা গেছে অ্যান্টার্কটিকার সমুদ্রের বরফের জমাট স্তর ১৭ মিলিয়ন বর্গ কিলোমিটারে দাঁড়িয়েছে। যা ২০২৩ সালে ৭ সেপ্টেম্বর ছিল ১৭.১ মিলিয়ন বর্গ কিলোমিটার।
এখানে বিজ্ঞানীদের চিন্তার কারণটা কি? বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছে দীর্ঘকালীন রেকর্ড অনুযায়ী অ্যান্টার্কটিকার সমুদ্রের বরফের জমাট স্তর ৭ সেপ্টেম্বর থাকে ১৮.৪ মিলিয়ন বর্গ কিলোমিটার। যা কমছে। গতবছরের তুলনাতেও এবছর আরও কমল। এই বরফ জমাট বাঁধা কমতে থাকাটাই এখন বিজ্ঞানীদের রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে।
অ্যান্টার্কটিকার সমুদ্রের বরফের জমাট বাঁধা গতবছরও উপর নীচ করেছে। অস্থির ছিল জমাট বাঁধার মাত্রা। ২০২৪ সালেও তাই দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। বরফ জমাট বাঁধার মাত্রা খুবই অস্থির।
বিজ্ঞানীরা স্পষ্টই জানিয়েছেন, ২০২৩ এবং ২০২৪ সালে উষ্ণতম বিশ্ব দেখেছেন মানুষ। এই যে প্রবল উত্তাপ বৃদ্ধি সেটাই এসে প্রভাব ফেলছে অ্যান্টার্কটিকার সমুদ্রে। উষ্ণতা বৃদ্ধি বরফ জমাট বাঁধতে দিচ্ছেনা। যা আগামী দিনের জন্য অশনিসংকেত বলেই মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা