আকাশ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকার খাঁটি সোনা পড়ছে, চাইলেই পাওয়া যায়
আকাশে উড়ে যদি সোনা এসে হাতে পড়ে, বেশ হয় তাই না! এই জায়গার আশপাশে থাকলে কিন্তু তেমনটা সহজেই পেতে পারেন।
আগ্নেয়গিরি জেগে উঠলে আশপাশের তো বটেই, দূরদূরান্তের বসতিও প্রমাদ গোনে। কখন যে গলিত লাভা, পোড়া গরম ছাই বা পাথরের জ্বলন্ত টুকরো ছিটকে আসবে সে ভয়ে তটস্থ থাকেন মানুষজন। অনেকেই বাড়িঘরের মায়া ত্যাগ করে সুরক্ষিত জায়গায় পরিবার নিয়ে পালান।
আগ্নেয়গিরি জেগে উঠলে তা মানুষের জন্য কখনওই আনন্দের হতে পারেনা। কিন্তু এ এমন এক আগ্নেয়গিরি যা প্রায়ই জাগে। এ আগ্নেয়গিরি এমন আগ্নেয়গিরি যা থেকে দূরে নয়, বরং সেই জ্বালামুখ ফাটা আগ্নেয়গিরির কাছে যেতেই পছন্দ করবেন মানুষজন।
তাতে অনেকটা সোনা কপালে জুটে যেতেই পারে। কারণ এ আগ্নেয়গিরি প্রতিদিন ৮০ গ্রাম সোনা বার করে তার জ্বালামুখ দিয়ে।
যা ছিটকে বার হওয়ার পর ছড়িয়ে পড়ে ১ হাজার কিলোমিটার দূরেও। প্রতিদিন ভারতীয় মুদ্রায় ৫ থেকে সাড়ে ৫ লক্ষ টাকার খাঁটি সোনা ছিটকে বার হয় এই আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখ থেকে।
অ্যান্টার্কটিকার মাউন্ট ইরিবাস হল পৃথিবীর সেই আগ্নেয়গিরি যা সোনা উগরে দেয় তার জ্বালামুখ থেকে। আর সেই ছিটকে বার হওয়া সোনার হদিশ ১ হাজার কিলোমিটার দূরেও পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
অ্যান্টার্কটিকার রস আইল্যান্ডে অবস্থিত এই আগ্নেয়গিরি হল বরফের রাজ্য অ্যান্টার্কটিকার দ্বিতীয় বৃহত্তম পর্বত এবং দ্বিতীয় বৃহত্তম আগ্নেয়গিরিও।
অনেকের মনে হতে পারে এ আগ্নেয়গিরির কাছেপিঠে কোথাও যেতে পারলে হত! কিন্তু তা এতটাই দুর্গম জায়গায় যে গবেষকেরা ছাড়া তা সাধারণের ধরাছোঁয়ার বাইরে।