গরম জলের দিকে এগিয়ে আসছে বিশ্বের সর্ববৃহৎ হিমশৈল, কোন প্রলয় অপেক্ষা করছে
বিশ্বের সবচেয়ে বড় হিমশৈল বা আইসবার্গ এবার নড়েচড়ে এগোতে শুরু করেছে। যা আগামী দিনে কোন প্রলয় ডেকে আনবে। বিজ্ঞানীদের আলোচনা শুরু।
একটি আইসবার্গ বা হিমশৈলের ধাক্কায় আটলান্টিক মহাসাগরে তলিয়ে গিয়েছিল বিলাসবহুল জাহাজ টাইটানিক। হিমশৈল এমন এক বরফের খণ্ড যার সামান্যই জলের উপর জেগে থাকে। অধিকাংশটাই জলের নিচে থাকে।
আর হিমশৈল সেই অবস্থায় জলে ভাসতে থাকে। তার সঙ্গে ধাক্কা মানে নিশ্চিত ধ্বংস। এমন অনেক মাপের হিমশৈল জলে ভাসে। এমন অগুন্তি হিমশৈলের মধ্যে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় হিমশৈলটির নাম এ২৩এ।
১৯৮৬ সালে অ্যান্টার্কটিকা থেকে ভেঙে ভাসতে শুরু করে এই ১ লক্ষ কোটি টন বরফের চাঁই। যা অত্যন্ত ধীরে ভাসতে শুরু করেই আটকে যায় ওয়েডেল সাগরের সাউথ ওর্কনে দ্বীপের কাছে সমুদ্রের তলার মাটিতে।
সেখানেই আটকে ছিল ৩০ বছর ধরে। একটা বরফের দ্বীপের মত অবস্থান করছিল এ২৩এ। কিন্তু সেই স্থবির অবস্থা থেকে ফের নড়েচড়ে এগোতে শুরু করে বিশ্বের সর্ববৃহৎ আইসবার্গটি।
২০২০ সালে ফের তার সেই চলতে শুরু করা প্রথমে ছিল খুবই ধীর। কিন্তু এখন তা কিছুটা গতি পেয়েছে। ক্রমে সে এগিয়ে চলেছে দক্ষিণ মহাসাগরের অপেক্ষাকৃত গরম আবহাওয়া এবং অপেক্ষাকৃত উষ্ণ জলের দিকে।
হিমশৈলটি এগিয়ে যাচ্ছে দক্ষিণ জর্জিয়ার দিকে। যা বিজ্ঞানীদের চিন্তায় ফেলে দিয়েছে। কারণ তা যত গরম জলের সংস্পর্শে আসবে ততই তা ভেঙে যেতে শুরু করবে। টুকরো টুকরো হয়ে অনেক হিমশৈলের সৃষ্টি করবে। আর যেটা হবে সেটা আরও ভয়ংকর।
গরম আবহাওয়া ও গরম জলের সংস্পর্শে এসে হিমশৈলের বরফ গলবে। যা সমুদ্রের জলের সঙ্গে মিশে সমুদ্রের জলের পরিমাণ বাড়িয়ে দেবে। যা কখনওই মানবসভ্যতার জন্য কাম্য হতে পারেনা। স্থানীয়ভাবে তা বাস্তুতন্ত্রের ওপর বড় প্রভাব ফেলতে পারে বলেও মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা।