SciTech

চারিদিকে উড়ে বেড়ায় হিরের ধুলো, কোথায় গেলে দেখা যায় এ দৃশ্য

এখানে দাঁড়িয়ে থাকলে চারধারে শুধু হিরের ধুলো উড়ে বেড়ায়। এ দৃশ্য কিন্তু দেখা যাবে একটি জায়গায় গেলে। মনে হবে ভেসে বেড়ানো হিরের ধুলোর মধ্যে রয়েছেন কেউ।

এ এক অসামান্য অভিজ্ঞতা। কেউ যদি এখানে যান তাহলে সকালে তাঁরা বেশ অনুভব করবেন যে হিরের ধুলো গায়ে মেখে তাঁরা ঘুরে বেড়াচ্ছেন সেখানে। চারধারে উড়ে বেড়াচ্ছে হিরের ধূলিকণা। বাতাসে ধুলো নয়, হিরের ধুলো ভেসে বেড়াচ্ছে। কেমন একটা অন্যই অনুভূতি।

চারধারে বরফ আর বরফ। তার মাঝে অনন্ত বরফের রাজ্যে হিরেয় মাখামাখি শরীর। কোথায় গেলে এমন এক শিহরণ জাগানো অনুভূতির অভিজ্ঞতা চুটিয়ে উপভোগ করা যায়?


উত্তরটা অ্যান্টার্কটিকা। পেঙ্গুইনদের রাজত্ব দক্ষিণ মেরুতে পৌঁছলে সেখানে এই হিরের ধুলো ভেসে বেড়াতে দেখা যাবে বাতাসে। তবে সন্ধে নামলে তা আর দেখা যাবেনা। দেখা যাবে সকালে। কেন এমনটা হয়? আসলে ওই ধুলো কোনও হিরের ধুলো নয়।

Antarctica
অ্যান্টার্কটিকায় হিরের ধুলো, ছবি – সৌজন্যে – ফেসবুক – @bureauofmeteorology

ওই ধুলো তৈরি হয় জলকণা থেকে। জলকণা প্রবল ঠান্ডায় অতি ক্ষুদ্র বিন্দুতে জমাট বেঁধে যায়। তারপর ভেসে বেড়ায় বাতাসে। এই জমাট বাঁধা কণায় সূর্যের আলো পড়লে তা ঝলসে ওঠে। দেখে মনে হয় যেন হিরের ধুলো ভরে আছে বাতাসে। ভেসে বেড়াচ্ছে হিরের ধূলিকণা।


দক্ষিণ মেরুতে গেলে এও এক বিচিত্র অভিজ্ঞতা। যা চিরদিন মনে থেকে যাবে। জলকণা দ্রুত জমাট বাঁধার ফলে এই কণাগুলি সৃষ্টি হয়। প্রচুর এমন কণা অতি ক্ষুদ্র বিন্দু হয়ে ভেসে বেড়াতে থাকে বাতাসে। সূর্যের আলো তাদের নিমেষে হিরের দ্যুতি উপহার দেয়।

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button