তৈরি হল নতুন রেকর্ড, অ্যান্টার্কটিকাতেও তাপপ্রবাহ
২০১৯-২০-র গ্রীষ্মকালে অ্যান্টার্কটিকা দেখেছে আজ পর্যন্ত না দেখা গরম
গরমকালে বিভিন্ন দেশেই হিটওয়েভ বা তাপপ্রবাহের দাপট থাকে। গা জ্বালানো গরমে পুড়তে থাকা সেই সময়ে মানুষের জন্য গোদের ওপর বিষফোড়ার মত হিটওয়েভ বয়ে যায়। যা অতি প্রবল গরমে মানুষকে কার্যত গৃহবন্দি করে ফেলে। এই পরিস্থিতি না চাইলেও তার মুখোমুখি হতে হয় মানুষকে। সহ্য করতে হয় সেই চরম গরম। কিন্তু তা বলে অ্যান্টার্কটিকা!
পৃথিবীর শীতলতম মহাদেশ হল অ্যান্টার্কটিকা। সারা বছরই যা থাকে বরফে ঢাকা। উত্তর গোলার্ধে যখন শীতকাল তখন অ্যান্টার্কটিকায় গ্রীষ্মকাল। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন ২০১৯-২০-র গ্রীষ্মকালে এই অ্যান্টার্কটিকা দেখেছে আজ পর্যন্ত না দেখা গরম। এই প্রথম অ্যান্টার্কটিকার ওপর দিয়ে বয়ে গেছে হিটওয়েভ!
বিজ্ঞানীরা মনে করেন পরপর ৩ দিন ধরে যদি সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা চরমে থাকে তাহলে তাকে হিটওয়েভ বলা হবে। বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, গত ২৩ জানুয়ারি থেকে ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত তাঁরা দেখেছেন অ্যান্টার্কটিকায় সবোর্চ্চ তাপমাত্রা একসময়ে ৯.২ ডিগ্রিতে ঠেকে ছিল। সর্বনিম্ন তাপমাত্রাও ০ ডিগ্রির কিছুটা ওপরে ছিল।
গত ৩১ বছরের রেকর্ড বলছে অ্যান্টার্কটিকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা সেখানকার গরমকালে পৌঁছেছে ৬.৯ ডিগ্রিতে। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ০.২ ডিগ্রিতে। এতদিন এটাই ছিল রেকর্ড।
সেই রেকর্ড তো এবারের গরম ভেঙেই দিল, তার ওপর অদ্যাবধি কখনও না হওয়া একটি অভিজ্ঞতা যোগ করল অ্যান্টার্কটিকার প্রাণিকুলের সামনে। তা হল হিটওয়েভ।
বিজ্ঞানীরা বলছেন এই হিটওয়েভ অ্যান্টার্কটিকার জমাট বেঁধে থাকা বরফ গলাতে বাধ্য। এই হিটওয়েভ তাঁরা রেকর্ড করেছেন কেসি স্টেশন নামে একটি জায়গায়।
বিজ্ঞানীরা অবশ্য বলছিলেন যে অ্যান্টার্কটিকার তাপমাত্রা বাড়ছে। ফলে বরফ গলছে। যা গোটা বিশ্বের জন্য ভাল খবর নয়। কারণ অ্যান্টার্কটিকার বরফ গললে বিশ্বের সব মহাসাগর, সাগরে তার প্রভাব পড়বে। বাড়বে জল। যা স্থলভাগে থাকা জনবসতির জন্য সুখের কথা নয়। বিশেষত তাঁদের জন্য যাঁরা সমুদ্রের ধারে থাকেন। সেই আতঙ্ক বাড়িয়ে এবার তো একেবারে হিটওয়েভই বয়ে গেল অ্যান্টার্কটিকার ওপর দিয়ে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা