অবশেষে পৃথিবীর শেষ সীমানাতেও থাবা বসাল করোনা
গোটা বিশ্বে তো করোনা তার দাপট বজায় রেখেছে। বাকি ছিল পৃথিবীর শেষ সীমানা। সেখানেও এবার করোনা থাবা বসিয়ে দিল।
মানুষ হাতে গোনা। তাও কাজের প্রয়োজনে যাওয়া। চারিদিকে শুধুই বরফ আর বরফ। পৃথিবীর শেষ সীমানা। শুধু পৃথিবীর এই অংশটুকুই এতদিন করোনার কোপে পড়েনি।
সেই পৃথিবীর একমাত্র করোনামুক্ত এলাকাতেও এবার থাবা বসাল করোনা। রেহাই পেল না বিশ্বের একমাত্র করোনামুক্ত মহাদেশ অ্যান্টার্কটিকা। সেখানেও করোনা অবশেষে প্রবেশ করে গেল। চিলি-র একটি বেস-এ করোনা সংক্রমণ পাওয়া গিয়েছে।
অ্যান্টার্কটিকায় বিভিন্ন দেশের গবেষকেরা গবেষণার কাজে গিয়ে থাকেন। সেখানে বহু দেশের নিজস্ব বেস রয়েছে। একাধিক বেসও রয়েছে অনেকের।
সেখানে স্থায়ীভাবে থাকার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। চিলির গবেষক ও সেনাবাহিনীর আধিকারিকরা রয়েছেন তাঁদের দেশের বার্নার্ডো ও’হিগিনস বেস-এ। সেখানেই সাকুল্যে ৩৬ জন সংক্রমিত হয়েছেন বলে জানিয়েছে চিলির সেনাবাহিনী।
ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে এই বেস-এ থাকা ২ সেনা আধিকারিক অসুস্থ অনুভব করেন। পরে তাঁদের উপসর্গ দেখে করোনা পরীক্ষা হয়। সেখানেই ধরা পড়ে তাঁরা করোনা পজিটিভ।
দ্রুত ওই বেস-এ থাকা সকলকে কোয়ারেন্টিন করা হয়। কিন্তু তাতেও যে শেষরক্ষা হয়নি তা চিলি সেনা সংক্রমিতের যে তালিকা দিয়েছে তা থেকেই স্পষ্ট।
ওই বেস-এর এখন ২৬ জন সেনা আধিকারিক এবং সেখানে কনট্রাক্টর হিসাবে যাওয়া ১০ জন চিলির আম নাগরিকের করোনা ধরা পড়েছে।
অ্যান্টার্কটিকার অন্যতম শীতলতম স্থান উত্তরাংশের একটি পেনিনসুলার কোণায় রয়েছে চিলির এই বেস। যা চারধার থেকে সাগর আর হিমশৈলে ভর্তি। এখান থেকেই প্রয়োজনে জাহাজে চলে যাতায়াত।
চিলির নৌসেনা আবার জানিয়েছে নভেম্বরের শেষ থেকে ডিসেম্বরের প্রথম দিকে সেখানে যে যুদ্ধজাহাজটি গিয়েছিল তার ৩ জন নাবিকের করোনা পজিটিভ পাওয়া যায়। মনে করা হচ্ছে এখান থেকেই বেস-এ করোনা ছড়িয়েছে।
যদিও ঠিক কোথা থেকে করোনা এল তা নিয়ে যেমন এখন চিন্তিত চিলি প্রশাসন, তেমনই সকলকে কোয়ারেন্টিন করে স্বাস্থ্যের দিকে কড়া নজর রাখা চলছে। এখনও খুব খারাপ পরিস্থিতি কোনও সংক্রমিতের হয়নি।
প্রসঙ্গত লাতিন আমেরিকার চিলিতে করোনার থাবা কিন্তু যথেষ্ট বড় ধাক্কা দিয়েছে। এখনও সে দেশে বহু মানুষ সংক্রমিত।