গতবছরও এমন হয়নি, সমুদ্রের বরফ নিয়ে বুক কেঁপে ওঠার মত তথ্য দিলেন গবেষকেরা
১ বছর আগেও এমন পরিস্থিতি দেখা যায়নি। যা চলতি বছরের শুরুতেই দেখা গেল। এমনই কথা জানালেন গবেষকেরা। যা অবশ্যই সকলের জন্য চিন্তার কারণ।
৩৫ বছর আগের খতিয়ান বলছে এর ধারে কাছেও সে সময় কিছু হতনা। গত ৪০ বছর ধরে কৃত্রিম উপগ্রহ মারফত প্রাপ্ত তথ্য বলছে এমনটা এর আগে কখনও দেখা যায়নি। যা ২০২৩ সালে দেখা গেল।
সবে বছরের ১টা মাস কেটেছে। তারমধ্যেই বুক কাঁপানো তথ্য সামনে এসে পড়ল। জার্মানির অ্যালফ্রেড ওয়েজেনার ইন্সটিটিউট-এর গবেষকেরা জানাচ্ছেন, চলতি বছরে ফেব্রুয়ারির প্রায় মাঝামাঝি পর্যন্ত সময়ে অ্যান্টার্কটিকার ২২ লক্ষ বর্গ কিলোমিটার জুড়ে থাকা সমুদ্রের বরফ এতটাই গলেছে যা রীতিমত চিন্তার।
এমনভাবে গলতে গতবছরও দেখা যায়নি। গবেষকেরা জানাচ্ছেন, ফেব্রুয়ারি জুড়েই প্রায় এই বরফ গলা চলতে থাকবে। ফলে তা আরও কতটা গলবে তাও দেখার।
গত ৬ বছর ধরেই দেখা যাচ্ছে অ্যান্টার্কটিকার সমুদ্রে ঢেকে থাকা বরফের পুরু চাদর দ্রুত গলছে। তবে তা চলতি বছরে যত দ্রুত গলছে তা আগে কখনও দেখা যায়নি।
এর মধ্যেই অশনিসংকেত লুকিয়ে রয়েছে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, অ্যান্টার্কটিক পেনিনসুলার পূর্ব ও পশ্চিম প্রান্তে এবার গ্রীষ্মকালে গরম স্বাভাবিকের চেয়ে অনেকটাই বেশি। বাতাসে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে দেড় ডিগ্রি বেশি রয়েছে এবার। ফলে তার প্রভাব পড়ছে। বরফ হুহু করে গলছে।
গবেষকেরা জানাচ্ছেন অ্যান্টার্কটিকার বেলিংশাউসেন সাগর প্রায় বরফ শূন্য হয়ে গেছে। এখানে একটি চমকপ্রদ তথ্য দিয়ে পরিস্থিতি বোঝানোর চেষ্টা করেছেন বিজ্ঞানীরা।
১৮৯৯ সালে বেলিংশাউসেন সাগরে বেলজিয়ান একটি জাহাজ গবেষকদের নিয়ে হাজির হয়। সেখানে পৌঁছে কিন্তু বরফে ঢাকা সমুদ্রের পুরু বরফে আটকে যায় সেই জাহাজ।
যা ওই অনন্ত বরফের প্রান্তরে পরিণত হওয়া সাগরটি থেকে বার করতে ১ বছর সময় লেগেছিল। এখন সেখানেই বরফ প্রায় নেই বললেই চলে। শুধু জল আর জল। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা