অনেকে জামা কাপড় কিনতে ভালবাসেন, কেউ বই কিনতে, কেউ নানা খাবার খেতে, কেউ সুগন্ধি কিনতে, অনুরাগ কাশ্যপ যেমন ভালবাসেন জুতো কিনতে। ইতিমধ্যেই নাকি তাঁর জুতোর সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়ে গেছে। যখন লেখেন তখন লেখেন। যখন পরিচালনা করেন তখন করেন। কিন্তু একটু যদি অবসর পেয়েছেন তো সোজা জুতোর দোকানে। জুতো কিনতে। অবসর কাটানোর বিনোদন হল জুতো কেনা। ভাবা যায়! তাঁর কাজ না থাকলেই তিনি জুতো কিনতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন।
একথা রটনা নয়। খোদ অনুরাগ কাশ্যপ নিজেই একটি সাক্ষাৎকারে এমনটা জানিয়েছেন। তিনি এও জানিয়েছেন তাঁর শোয়ার ঘর পর্যন্ত পৌঁছতে গেলে অনেক জুতো টপকে সেখানে যেতে হবে। তাঁর পুরনো বাড়ি জুতোয় ভরে গেছে। জুতো রাখার ঠিকঠাক জায়গা নেই। সর্বত্র তাই জুতো বোঝাই হয়ে পড়ে। সকলকে চমকে দিয়ে অনুরাগ অকপটে জানিয়েছেন, তাঁর নতুন বাড়িটা কেনার অন্যতম কারণই হল জুতো রাখার ঠিকঠাক বন্দোবস্ত করা। ওই বাড়ির একটা ঘর শুধু জুতোর রেকে ভর্তি। ঘরটা জুতো রাখার জন্যই রেখেছেন অনুরাগ।
জুতো তাঁর হৃদয় ভাল রাখার একটা থেরাপি বলে মনে করেন অনুরাগ। এমন জুতো প্রেম এখন বলিউডের সকলের জানা। অনুরাগ মানেই জুতো। তিনি জানালেন, প্রতিদিন সকালে কাজে বার হওয়ার আগে তাঁর সবচেয়ে বড় কাজ হল সেদিন তিনি কোন জুতোটা পড়ে বার হবেন সেটা বাছাই করা।
অনুরাগ এই জুতো প্রেমের মধ্যে এক অনাবিল সুখ অনুভব করেন সন্দেহ নেই। কিন্তু তাবলে মুম্বইয়ের মত ব্যয়বহুল শহরে যেখানে এক ইঞ্চি জায়গারও অনেক দাম, সেখানে কিনা একটা নতুন বাড়ি কিনলেন শুধু জুতোদের নিশ্চিন্ত মাথা গোঁজার ও ভাল থাকার বন্দোবস্ত করতে! প্রসঙ্গত মঙ্গলবার ছিল অনুরাগ কাশ্যপের জন্মদিন। আর গোটা বলিউডই প্রায় এদিন সোশ্যাল সাইটে অনুরাগকে তাঁর জন্মদিনে অভিনন্দন জানিয়েছে। তালিকায় ছিলেন অনুরাগের প্রাক্তন স্ত্রী অভিনেত্রী কলকিও। যিনি অনুরাগকে আদর করে একে-৪৭ বলে সম্বোধন করেছেন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা