বরফ নিয়ে নতুন পরিসংখ্যান ঘুম কাড়ল বিজ্ঞানীদের
মেরুদেশের বরফের দিকে কড়া নজর রাখেন বিজ্ঞানী, গবেষকেরা। আর সেই বরফের প্রবণতা দেখে কার্যত রাতের ঘুম উড়েছে এইসব গবেষকদের।
মেরুপ্রদেশের বরফ যতদিন নিজের মত ছিল পৃথিবী অনেক বেশি সুরক্ষিত ছিল। কিন্তু যবে থেকে তা তার গলন শুরু করেছে পৃথিবীর কপালের ভাঁজ পুরু হচ্ছে।
মেরু অঞ্চলের বরফ গলছে অনেক দিন ধরেই। কতটা গলছে তা বিজ্ঞানীরা নজর রেখে আগেই জানিয়েছিলেন এই গতিতে গলতে থাকলে ক্রমে সমুদ্রগুলিতে জল বাড়তে থাকবে।
কিন্তু সেই গতি সম্প্রতি এতটাই বেড়েছে যে গবেষকরাও হতবাক হয়ে গিয়েছেন। তাঁদের দাবি যে গতিতে মেরুর বরফ গলতে শুরু করেছিল, তার চেয়েও অনেক বেশি গতিতে গলছে বরফ।
গবেষকরা জানিয়েছেন যে গতিতে বরফ গলার হিসাব তাঁদের কাছে ছিল এখন দেখা যাচ্ছে সুমেরু এলাকার উপকূলীয় বরফের স্তর তার দ্বিগুণ গতিতে পাতলা হচ্ছে।
বরফ গলে জল মিশছে সমুদ্রে। যা কার্যত সমুদ্রের জল বাড়িয়ে দিচ্ছে। অবশ্যই যা মানবসভ্যতার জন্য অশনিসংকেত।
কতটা গলছে বরফ? এটা জানার জন্য বরফ কতটা পুরু তার একটা ম্যাপিং করেন বিজ্ঞানীরা। দেখা হয় যে বরফের অংশ উপকূল জুড়ে রয়েছে তার উচ্চতা কমছে কিনা।
আর তা কমলে কতটা কমছে তার ওপর নির্ভর করে বরফ কতটা গলল। বিজ্ঞানীরা আধুনিক যন্ত্র ব্যবহার করে এখন দেখছেন যে যা ভাবা হয়েছিল তার চেয়ে ৭০ থেকে ১০০ শতাংশ বেশি গতিতে গলে যাচ্ছে মেরু এলাকার বরফ।
বরফের এই পাতলা হতে শুরু করা কার্যত গবেষকদের রাতের ঘুম উড়িয়েছে। তাঁরা মনে করছেন যত এই স্তর পাতলা হতে থাকবে ততই গ্রীষ্মকালে মেরুপ্রদেশের বরফ বেশি গলতে থাকবে।
এদিকে এই পুরু বরফই মহাসাগরের জলের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। তা পাতলা হতে শুরু করা অবশ্যই দুশ্চিন্তার। সেইসঙ্গে জল বাড়তে থাকার একটা সমস্যা রয়েছে।
বরফ গলে জল যত বাড়বে ততই সাগরের জল বাড়বে। যা পৃথিবীর স্থলভাগের ভয়ংকর পরিণতির জন্য দায়ী হতে পারে। এখনই বলা হচ্ছে অনেক উপকূলীয় এলাকায় জল বাড়বে। সমুদ্র এগিয়ে আসবে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা