বিজ্ঞানীদের হাড় হিম করা পূর্বাভাস, কিছু বছরের মধ্যেই অন্য সুমেরু সাগর দেখবে বিশ্ব
সুমেরু বা উত্তর মেরুর সুমেরু সাগর নিয়ে এমন এক পূর্বাভাস বিজ্ঞানীরা দিলেন যে তা বিশ্ববাসীর হাড় হিম করার জন্য যথেষ্ট।
সুমেরু বা উত্তর মেরু বললেই প্রথম যেটা চোখের সামনে ভেসে ওঠে সেটা হল বরফের পুরু চাদরে মোড়া এক শ্বেতশুভ্র মেরু অঞ্চল। যেখানে সুমেরু সাগরের একটা বড় অংশও বরফের চাদরে মোড়া থাকে।
উত্তর মেরু হোক বা দক্ষিণ মেরু, সেখানে উষ্ণায়নের প্রভাব যে কতটা ভয়ংকর হতে চলেছে সে সম্বন্ধে আগেই ধারনা দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। বরফ যে সেখানে গলছে তাও জানিয়েছেন তাঁরা।
বরফের চাদর মেরু অঞ্চলে গরমের কারণে পাতলা হচ্ছে। এবার বিজ্ঞানীরা পূর্বাভাস দিলেন যে সুমেরুতে গ্রীষ্মকালে বিশেষত সেপ্টেম্বর মাসে সুমেরু সাগরের জলে আর বরফ ভাসতে দেখা যাবেনা।
এই সময় সব বরফ গলে যাবে। যেভাবে গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গমন চলছে তাতে চলতি শতকের মধ্যভাগের মধ্যেই অর্থাৎ ২০৫০-এর মধ্যেই এমনটা ঘটতে চলেছে।
২০৫০ সালের আগে যদি গ্রিন হাউস গ্যাসের নির্গমন কিছুটা কমানোও হয় তাহলেও কিন্তু এই বরফ গলা দেখতে হবে বিশ্বকে। আর যদি এখন যেমন চলছে তেমন ভাবেই গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গমন চলতে থাকে তাহলে ২০৩০ থেকে ২০৪০ সালের মধ্যেই সেপ্টেম্বর মাসে সুমেরু সাগরের সব বরফ গলে জল হয়ে যাবে।
বিশ্ব উষ্ণায়নে মানুষের হাত রয়েছে একথা আগেই জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। যেভাবে নিরন্তর গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গমন চলছে তাতে মেরু অঞ্চলের বরফ গলতে বাধ্য বলেই মনে করছেন তাঁরা।
আর তা হলে কিন্তু বিশ্বের অনেক স্থলভাগই প্রশ্নের মুখে পড়বে। কারণ সাগরের জল বেড়ে গেলে তা কিন্তু অনেক দেশের স্থলভাগকেই ভাসিয়ে দেবে।