রূপকথার গল্পের কেশবতী রাজকন্যাও হার মানবে তাঁর চুলের কাছে। ঘন একরাশ মখমলে চুলের ঢেউ নেমে এসেছে পায়ের গোড়ালি অবধি। যার দৈর্ঘ্য ৫ ফুটের কাছাকাছি। অর্থাৎ একজন ৫ ফুটের মানুষ ঢাকা পড়ে যাবেন তাঁর কেশসাগরে। তবে সেই ঈর্ষনীয় চুলের কারণে মাঝে মাঝে বিড়ম্বনার মুখেও পড়তে হয়েছে আর্জেন্টিনার বাসিন্দা আব্রিলা লরেঞ্জাত্তিকে।
প্রবল হাওয়ার সম্মুখীন হলেই তাঁর সাধের মোলায়েম চুল হয়ে ওঠে অবাধ্য। সিঁড়ি দিয়ে ওঠার সময় লম্বা চুল নিয়ে বিড়ম্বনায় পড়তে হয় ১৭ বছরের কিশোরীকে।
টানা ১০ বছর সাধের চুলের জন্য এইটুকু কষ্ট স্বীকার করতে অবশ্য পিছপা হননি আব্রিলা। তাঁর সেই সাধনাকেই এবার স্বীকৃতি দিল গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস। বিশ্বের দীর্ঘতম চুলের অধিকারিণী হিসেবে আব্রিলার নাম ঢুকে পড়ল গিনেস বুকের খাতায়।
গত ১০ বছরে আব্রিলার নিত্যনৈমিত্তিক দিনের অন্যতম কাজই ছিল চুলের পরিচর্যা করা। তবে আব্রিলার দীর্ঘ চুলের রহস্যের পিছনে আছে এক নাপিতের ভুল। যিনি আব্রিলার চুল খুব ছোট করে কেটে দিয়েছিলেন। সেটা একেবারেই মেনে নিতে পারেননি ছোট্ট আব্রিলা। ফলে ঠিক করেন আর যাই হোক, কখনও চুলে কাঁচি ঠেকাতে দেবেন না।
যেমন ভাবা তেমন কাজ। এরপর থেকে আর চুল কাটেননি তিনি। বরং নিজের কেশরাশিকে পরম যত্নে লালন পালন করে গেছেন। তার ফলও মিলেছে। আপাতত বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা চুলের অধিকারিণী সপ্তদশী আব্রিলা।