রান্না হওয়াটা বাকি ছিল, সেখান থেকে কপাল জোরে জলে ফিরল চিংড়ি
কথায় বলে রাখে হরি মারে কে। তা শুধু মানুষের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য নয়। তা চিংড়ির ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। না হলে এমন আশ্চর্য রক্ষাও লেখা ছিল চিংড়ির কপালে।
চিংড়ি মাছের কপাল! শুনতে একটু অবাক লাগলেও এটাই তো হল! চিংড়ির হঠাৎ কপাল খুলে গেল। ফলে তা রান্না হতে গিয়েও হল না। বরং তা ফিরে গেল জলে। যেখানে সে নিশ্চিন্তে বাকি জীবন কাটাতে পারবে।
রেস্তোরাঁয় লবস্টার বা গলদা চিংড়ির চাহিদা থাকে। সে ভারতে হোক বা বিদেশে। চিংড়ির জিভে জল আনা ডিশ মানুষের রসনা তৃপ্তির এক অন্যতম হাতিয়ার।
চিংড়ির চাহিদার কথা মাথায় রেখে রেস্তোরাঁগুলিও চিংড়ির মজুত ঠিক রাখে। বিশেষত সেসব রেস্তোরাঁ যারা চিংড়ির বিভিন্ন পদের জন্য বিখ্যাত।
এমনই একটি রেস্তোরাঁয় বাকি চিংড়ির সঙ্গে এসেছিল চিংড়িটা। গাঢ় ঝলমলে কমলা রং তার। রূপে সে বাকি চিংড়িদের চেয়ে আলাদা। চিংড়িটাকে দেখলেই চোখ জুড়িয়ে যায়।
এমন একটি উজ্জ্বল কমলা রংয়ের চিংড়ি তোলা হয়েছিল একটি অর্ডারের রান্না প্রস্তুত করার জন্য। কিন্তু রেস্তোরাঁর লোকজন তার রূপে এতটাই মুগ্ধ হয়ে গেলেন যে রান্না ভুলে তাকে হাতে নিয়ে ভিডিও করে ফেললেন তাঁরা।
সকলে কার্যত কাজ ফেলে হুমড়ি খেয়ে পড়েন চিংড়ির রূপ দেখতে। চিংড়ির রূপে মুগ্ধ রেস্তোরাঁর কর্মীরা স্থির করেন এই চিংড়িকে তাঁরা রান্না করতে পারবেননা। তাকে রান্না না করে রেস্তোরাঁর তরফ থেকে তুলে দেওয়া হল একটি অ্যাকোয়ারিয়ামের হাতে।
সেখানে অ্যাকোয়ারিয়ামের জলে আপাতত এই কমলা চিংড়ি মহানন্দে ভেসে বেড়াচ্ছে। জীবনের দেওয়া রং তাকে এ যাত্রায় বাঁচিয়ে দিল। ঘটনাটি ঘটেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনার একটি রেস্তোরাঁয়।