বিয়ের প্রথম দিনে রুটি কাঁধে কেরামতি দেখাতে হয় স্বামীস্ত্রীকে
স্থানভেদে রীতিও বদলায়। বিয়ের নিয়মও। সামাজিক বিয়ের হাজার হাজার নিয়ম ছড়িয়ে আছে পৃথিবী জুড়ে। রয়েছে নানা আজব রীতি রেওয়াজ।
বিয়ে নিয়ে একটা উন্মাদনা সারা বিশ্বের সর্বত্র রয়েছে। আধুনিক শহুরে বিয়ে থেকে প্রত্যন্ত এলাকায় আদিবাসী বিয়ে, রয়েছে হাজারো নিয়ম, রীতি, আচার, বিচার, প্রথা।
তা প্রজন্মের পর প্রজন্ম বাঁচিয়েও রাখার চেষ্টা করে। যাতে তাদের বিয়ে নিয়ে স্বতন্ত্রতা বজায় থেকে যায়। এমন এক বিয়ের রীতি হল স্বামীস্ত্রীর রুটি নিয়ে কেরামতি।
আর্মেনিয়ায় বিয়েতে একটি রীতি প্রচলিত। বিয়ের পর স্বামীগৃহে প্রথম দিন যখন বিয়ের অনুষ্ঠানে স্বামীস্ত্রী প্রবেশ করে তখন শুরু হয় এই রীতির।
অনুষ্ঠানে প্রবেশ করেই স্বামীস্ত্রী একসঙ্গে একটি প্লেট ভেঙে দেন। বিবাহিত জীবনের সৌভাগ্যের প্রতীক হিসাবে ধরা হয় এই প্লেট ভাঙাকে।
এখানেই শেষ নয়। এরপর স্বামীর মা একটি রুটি স্থানীয়ভাবে যাকে বলা হয় লাভাশ, তা নবদম্পতির হাতে তুলে দেন। নবদম্পতিকে সেই রুটি তাঁদের কাঁধে ভারসাম্য রেখে রাখতে হয়। যাতে তা পড়ে না যায়।
আর্মেনিয়ায় এটা বিশ্বাস করা হয় যে নবদম্পতি যদি এই রুটির কেরামতি ঠিকঠাক করতে পারেন, তাহলে তাঁরা খারাপ প্রভাব থেকে দূরে থাকতে পারেন।
রুটি পর্বের পর স্বামীস্ত্রীকে স্বামীর মায়ের দেওয়া মধু খেতে হয়। এক চামচ করে মধু খেলে তাঁদের দাম্পত্য জীবন সুখের হবে বলেই মনে করা হয়। এইসব পর্ব শেষ করে তারপর নবদম্পতি অতিথি আপ্যায়ন ও অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে একটা সুন্দর সন্ধ্যা কাটান।