নোটবন্দি ছিল ভারতীয় অর্থনীতিকে সাজানোর এক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সরকারি সিদ্ধান্ত। তার ফলও মিলেছে। আয়করদাতার সংখ্যা ৩ দশমিক ৮ কোটি থেকে বেড়ে হয়েছে ৬ দশমিক ৮৬ কোটি। অর্থাৎ ৫ বছর পূরণ করার আগে করদাতার সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ করতে সমর্থ হয়েছে সরকার। এছাড়া নোটবন্দি কর এড়ানোর কৌশলে লাগাম দিতে ও কর সংগ্রহ বৃদ্ধি করতে সাহায্য করেছে। বৃহস্পতিবার নোটবন্দির দ্বিতীয় বর্ষপূর্তিতে যখন বিরোধীরা সরকারকে তুলোধোনা করতে সরব তখন এভাবেই সরকারের তরফে নোটবন্দির সুফল নিয়ে জোড়াল সওয়াল করলেন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি।
এক ফেসবুক পোস্টে অরুণ জেটলি আরও লেখেন, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ঘরে সব টাকাই প্রায় ফেরত এসেছে বলে সমালোচনা হচ্ছে। কিন্তু টাকা বাজেয়াপ্ত করা নোটবন্দির উদ্দেশ্য ছিলনা। বরং একটি নিয়মমাফিক অর্থনীতির মধ্যে সব টাকা আনা এবং করদাতাদের কর দিতে বাধ্য করা ছিল বৃহত্তর উদ্দেশ্য। ভারতকে নগদ ব্যবহার থেকে ডিজিটাল বিনিময়ের দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য চলমান অবস্থায় একটা ঝাঁকুনি দেওয়ার দরকার ছিল। অর্থমন্ত্রী এদিন দাবি করেন, নোটবন্দির পর ভারতে ডিজিটাল বিনিময় বেড়েছে। ভিসা বা মাস্টারকার্ড তাদের বাজার হারাচ্ছে। সে জায়গায় ভারতের নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি ইউপিআই বা রুপে কার্ড নিজেদের মার্কেট শেয়ার বাড়াচ্ছে।
(সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা)