প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতা শুনলেই বোঝা যায় যে তাঁর রাজনীতি, রাজনৈতিক ইতিহাস, অর্থনীতি, বৈদেশিক নীতি, কৌশলগত বিষয় সহ বিভিন্ন বিষয়ে অগাধ জ্ঞান আছে। ভাবনার স্বচ্ছতা দিয়ে তিনি খুব দ্রুত শিখে যান। যার থেকে তিনি নিখুঁত বক্তৃতা করতে পারেন। শুক্রবার প্রধানমন্ত্রীর বাছাই করা বেশ কিছু বক্তৃতাকে একত্রিত করে প্রকাশিত একটি বইয়ের উদ্বোধনে এসে একথা জানালেন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। বইটির নাম ‘সবকা সাথ সবকা বিকাশ’।
জেটলি বলেন, বক্তৃতা এমন হওয়া উচিত যা শ্রোতাদের প্রভাবিত করতে পারে। আর তা প্রধানমন্ত্রীর আছে। এই প্রসঙ্গে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তাঁর দেখা আরও কয়েকজন সুবক্তার নাম করেন অর্থমন্ত্রী। তাঁর মতে, এই বাগ্মীদের মধ্যে রয়েছেন মহাত্মা গান্ধী, অটলবিহারী বাজপেয়ী, জগজীবন রাম ও ইন্দ্রজিৎ গুপ্ত। ভাল বক্তৃতা ক্ষমতাই একজন সাধারণ রাজনীতিবিদ ও একজন সত্যিকারের দেশনায়কের মধ্যে ফারাক গড়ে দেয়।
জেটলি এদিন বলেন, একজন সাধারণ রাজনীতিবিদ আজ বা কাল শিরোনামে ওঠার জন্য বক্তৃতা দেন। কিন্তু কেউ যদি অনেক উঁচুতে উঠে যান তাহলে তিনি পরের প্রজন্মের জন্য ভাবেন। এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর করা বাছাই বক্তৃতা সম্বলিত এই বইটি প্রকাশিত হয়েছে ৫টি খণ্ডে। ইংরাজি ও হিন্দি, ২ ভাষাতেই প্রকাশিত হয়েছে এই বইটি। কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের প্রকাশনা বিভাগ বইটি প্রকাশ করেছে।
(সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা)