আগামী দিনে আয়করের উর্ধ্বসীমা আরও বাড়তে পারে। কমতে পারে আয়ের ওপর করের হার। ঘোষণা নয়। এমনই ইঙ্গিত দিলেন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। সামনেই বাজেট। তার আগে নোট বাতিল নিয়ে কিছুটা কোণঠাসা বিজেপি। ব্যাঙ্ক, এটিএমে হয়রানির জেরে আমজনতার মুখে মুখে এখন কেন্দ্রের বিরোধিতা। এই অবস্থায় আমজনতার সেই ক্ষত যাতে ভোটব্যাঙ্কে প্রভাব না ফেলে তার জন্য কেন্দ্রকে একটা মলম খুঁজতেই হত বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। কারণ সামনেই উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন। সেখানে মুখ পুড়লে চাপে পড়ে যাবে বিজেপি। এই অবস্থায় আয়করে ছাড় একটা মোক্ষম চাল হতে পারে বলেই মনে করছেন অনেকে। অরুণ জেটলির যুক্তি, নোট বাতিলের সিদ্ধান্তে হাতেহাতে ঘুরতে থাকা নগদ ব্যাঙ্কে জমা পড়েছে। ফলে ব্যাঙ্কের ঋণ দেওয়ার ক্ষমতা বেড়েছে। তাতে কর ছাড়ের সম্ভাবনাও বেড়েছে। দেশে ডিজিটাল লেনদেন যত বাড়বে ততই সরকারের কোষাগারে অর্থের যোগান সুনির্দিষ্ট হবে। কেউ কর ফাঁকি দিতে পারবেন না। যার জেরে আয়করের ক্ষেত্রে ছাড় মেলার একটা সুযোগ তৈরি হবে। বাজেটের আগে অর্থমন্ত্রীর গলায় এমন সুরে আশায় বুক বাঁধছেন দেশের আমজনতা।